আবারও অসুস্থ এটিএম শামসুজ্জামান
প্রকাশিত : ১০:১২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। এমনকি কথাও বলতে পারছেন না।
তাকে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনা জামান জানান, শুক্রবার থেকেই এটিএম শামসুজ্জামানের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। চলাফেরা করতে পারছিলেন না। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। শুক্রবার রাতভর এমন অবস্থা ছিল। পরে শনিবার দুপুরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমানের পরামর্শে তাকে নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধীনে ভর্তি করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। সেই রাতে তাকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। টানা ৫০ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৫ জুন তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন সেখানে ছিলেন। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পর তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া গত ২৫ নভেম্বর আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে এটিএম শামসুজ্জামানকে জরুরি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার উন্নতি হলে পরে তাকে বাসায় নেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
এসএ/