ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতা দিবসে আসছে হইচই এর নতুন সিরিজ “একাত্তর”

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৪, ৬ মার্চ ২০২০

আগামী ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জনপ্রিয় অনলাইন এন্টারটেইনমেন্ট প্লাটফর্ম হইচই-এ মুক্তি পাচ্ছে নতুন অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ “একাত্তর” । শিবব্রত বর্মন এর চিত্রনাট্যে থ্রিলার ঘরানার এই ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। অভিনয় করেছেন মুস্তাফা মনোয়ার, ইরেশ যাকের, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তারিক আনাম খান, শতাব্দি ওয়াদুদ, দীপান্বিতা মার্টিন প্রমূখ। 

এ উপলক্ষে গত ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার সেন্টার এর তৌফিক আজিজ খান সেমিনার হলে হয়ে গেল হৈচৈ অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ “একাত্তর” এর প্রথম দর্শন (ফার্স্ট লুক রিভিল) এবং চরিত্র পরিচিতি (ইন্ট্রোডাকশন অফ দা ক্যারেক্টারস)। অভিনেতাদের পাশাপাশি এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হইচই বাংলাদেশ এর বিজনেস লিড সাকিব আর খান, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডোপ প্রডাকশন্স থেকে পরিচালক তানিম নূর, একাত্তরের এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার দ্যা গুড কোম্পানির সিইও সরদার সানিয়াত হোসাইন এবং হইচই বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ। 

ওয়েব সিরিজ একাত্তরের কাহিনীর সূচনা হয় ১৯৭১ সালের শুরুতে, যখন আন্দোলনে উত্তাল পূর্ব বাংলা। পূর্ব বাংলার মানুষের ন্যায্য অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করতে “অপারেশন ব্লিটজ” নামে একটি অপারেশনের প্ল্যান করে পাকিস্তান আর্মি। ক্যাপ্টেন সিরাজ নামের (মোস্তাফিজুর নূর ইমরান) এক বাঙালি অফিসার গোপনে সেই ফাইল যোগাড় করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিতে চায়। তার পেছনে ধাওয়া করে পাকিস্তানী মেজর ওয়াসিম (ইরেশ যাকের)। এসময় ক্যাপ্টেন সিরাজ জীবন বাঁচাতে সেলিমের (মুস্তাফা মনোয়ার) গ্যারেজে আশ্রয় নেয়। ফাইলটি গণমধ্যমের হাতে পৌঁছাতে ক্যাপ্টেন সিরাজ মেজর ওয়াসিমের স্ত্রী সাংবাদিক রুহি বাট (মিথিলা) এর সাহায্য চায়। রুহি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সেলিমের সাথে জয়িতা (তিশা), প্রদীপ (শতাব্দী ওয়াদুদ) এবং অন্যান্যরা ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি আর্মির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এমনই এক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে একাত্তর।  
হইচই বাংলাদেশের বিজনেস লিড সাকিব আর খান জানান, "বাংলাদেশের প্রতিভা সারা পৃথিবীতেই স্বীকৃতি পেয়েছে, এবং বাংলাদেশের কন্টেন্ট সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এটি আমাদের আরও একটি প্রচেষ্টা। হইচই এদেশে আরও অনেক কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছে এবং খুব তাড়াতাড়ি তা হইচইয়ে চলে আসবে। যেহেতু আমরা পুরো পৃথিবীর  বাংলা ভাষা ভাষীদের বিনোদনের জন্য কাজ করছি, এবং বাংলাকে ঘিরে রয়েছে আমাদের শেকড়, ভালবাসা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস - সে কারণে আমরা কিছু দায়বদ্ধতা এড়াতে পারি না। একাত্তর - আমাদের সেই দায়বদ্ধতারই প্রতিফলন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এরকম কাজ খুব বেশি হয়নি। আশা করি এই কন্টেন্ট আমাদের সবার ভাল লাগবে এবং নতুন ভাবনার খোরাক যোগাবে।"
অনুষ্ঠানে “একাত্তর” এর ট্রেইলার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেখানো হয় এবং অভিনেতারা এক এক করে সবার সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। সবশেষে ছিল সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে হইচই বাংলাদেশ এর আগে “ঢাকা মেট্রো” এবং “মানি হানি” নামে দুটি অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ বাংলাদেশে তৈরি করেছে। 

মোস্তাফিজুর নূর ইমরান বলেন, “একটি কাজ তখনই ভালো হয় যখন ভালো কাহিনী এবং ভালো বাহিনী এই দুইয়ের সম্মিলন ঘটে। সেইসাথে প্রয়োজন হয় প্রফেশনালিজম এবং অনারের। হইচই এবং এই টিমের সাথে আমার একাধারে কয়েকটি কাজের পেছনের মুল কারণ আসলে এটাই। এই সবগুলোই এই টিমের মধ্যে আছে। হইচইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই চমৎকার কাজটির জন্য। সেইসাথে ধন্যবাদ দিতে চাই পরিচালক তানিম নূরকে। তাঁর সাথে এত কম্ফোর্টেবলি কাজ করতে পেরেছি বলেই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার জন্য সহজ হয়েছে।” 
ইরেশ যাকের বলেন, “নানা ব্যস্ততার কারণে প্রায় এক বছর আমি কাজ থেকে দূরে ছিলাম। তারপর আমি তানিমের কাছ থেকে এই কাজটার প্রস্তাব পাই। ও আমাকে `Stranger in my own country’ বইটা তখন পড়তে  দেয়। এই অ্যাপ্রোচ এখনকার যেকোনো ডিরেক্টর থেকে পাওয়া আসলেই বিরল। পুরো টিম অনেক পরিশ্রম করেছে এই কাজটা সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য। কারো চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিলো না। আমি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছি ইমরানকে দেখে। একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সেই চরিত্রের ভেতর ডুবে যাওয়ার যে চেষ্টা থাকা দরকার সেটা ওর মধ্যে আমি খুঁজে পেয়েছি। আমি নিজে ওকে দেখে আসলে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।”
মিথিলা বলেন, “এই চরিত্রটা আমার জন্য আসলেই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এর একটা কারণ হচ্ছে আমাকে চরিত্রের জন্য ক্রমাগত ঊর্দূতে কথা বলতে হচ্ছিলো, শিখতে হচ্ছিলো। কখনো কোনো কাজের জন্য অামাকে এত পরিশ্রম বোধহয় করতে হয়নি। সত্যি কথা বলতে গেলে এখন তো অকে নাটকের স্ক্রিপ্ট আমরা নাটকের সেটে গিয়েও পাই! কিন্তু তানিম আমাদেরকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্ক্রিপ্ট দিয়েছে।” 
তিশা বলেন, “তানিমের সাথে আসলে এটাই আমার প্রথম কাজ। আমাদের সব আবদার শুনেও এত সুন্দর করে কাজটা শেষ করার জন্য তানিমকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। হইচই টিম, গুড কোম্পানি এবং ক্যামেরার পেছনে যারা কাজ করেছেন সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। সব শেষে এটাই বলবো যে এটা পুরোপুরি একটা টিম ওয়ার্ক। পুরো টিম এত খেটেছে তার কাছে আসলে আমাদের খাটুনি খুবই অল্প।” 
মোস্তফা মনোয়ার বলেন, “এই পুরো টিমটাই আসলে আমার জন্য খুব কম্ফোর্টবল। তানিমের সাথে খুবই রিল্যাক্স হয়ে আমি কাজটা করতে পেরেছি। স্ক্রিপ্টটা যখন প্রথম হাতে পাই তখনই আমি খুব খুশি হই যে এরকম একটা ক্যারেক্টারের জন্য তানিম আমার ওপর আস্থা রেখেছে। পুরো ক্যারেক্টারটা শুরু থেকে শেষ অব্দি নানান ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।খুবই উপভোগ করেছি আমি চরিত্রটা।” 
পরিচালক তানিম নূর বলেন, “অপারেশন ব্লিটজ নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে তেমন কোনো কাজ হয়নি আমার জানামতে। চলচ্চিত্রের কাহিনী সত্য গল্পের ভিত্তিতে হলেও শেষ পর্যনন্ত এটা একটা ফিকশন। ১৯৭১ আমাদের কাছে সাধারণ মানুষদের অসাধারণ হয়ে ওঠার ইতিহাস। এই ‘একাত্তর’ ও আসলে সাধারণ কিছু মানুষের অসাধারণ হয়ে উঠবার গল্প।”   

হইচই   
বাংলা ভাষার বাছাই করা চলচ্চিত্র, অরিজিনাল সিরিজ, গান ও মিউজিক ভিডিও সহ প্রায় ২০০০ ঘন্টারও বেশি ওয়াচ-টাইমের কন্টেন্ট নিয়ে হইচই বাংলাভাষীদের বিনোদনের জন্যে সেরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। কন্টেন্টের সংখ্যার ধারাবাহিক বৃদ্ধিতে হইচই প্ল্যাটফর্মে প্রতিমাসে অন্তত দু’টি অরিজিনাল সিরিজ ও চলচ্চিত্র যুক্ত হয়। স্মার্টফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ স্টোরে গিয়ে সহজেই ডাউনলোড করা যাবে হইচই অ্যাপ। ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ থেকে হইচই- এর কন্টেন্ট দেখা যাবে www.hoichoi.tv - এই ওয়েবসাইটে গিয়ে। এছাড়া, ফায়ার টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, ক্রোমকাস্ট ও রোকু প্রভৃতি ডিভাইসের মাধ্যমেও হইচই এর কন্টেন্ট দেখা যাবে।

ওয়েবসাইট: https://www.hoichoi.tv  
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.viewlift.hoichoi  
আইওএস: https://itunes.apple.com/in/app/hoichoi/id1188755540 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি