সন্তান আসার খুশিতে রাজ-শুভশ্রীর ছবি পোস্ট
প্রকাশিত : ১৭:১৮, ১ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৭:২২, ১ জুন ২০২০
আর কয়দিন পরেই রাজ-শুভশ্রীর ঘরে আসছে নতুন অতিথি। এ নিয়েই তাদের এখন সময় কাটছে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করলেন। সাদা পাঞ্জাবি পড়ে রাজ জড়িয়ে আছেন স্লিভলেস ব্লাউজ আর ঘিয়ে রঙের শাড়ি পরা তাঁর সন্তানের জননী শুভশ্রীকে। শুভশ্রীর পেটের কাছে হাত দিয়ে যেন ছুঁয়ে আছেন তাদের সন্তানকে। রাজ এ ভাবেই প্রকাশ করলেন শুভশ্রীর বেবি বাম্পের ছবি । আর এক ছবিতে শুভশ্রী আর রাজ আগত সন্তানের কথা ভেবেই একে অপরকে আদর করছেন।
সংবাদ মাধ্যমকে খানিক লাজুক স্বরেই রাজ বললেন , “শুভকে তো কিছুই করতে দেবে না আমায় তাই লুকিয়ে ইনস্টাতে ছবিটা পোস্ট করি। চারিদিকে এত খারাপ খবর শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে আমার মনে হয়েছিল একটু পজিটিভ কিছু দিই। তাই আমি এই ছবি পোস্ট করলাম”। শুধু ছবি পোস্টই নয় সুন্দরবনে নিয়মিত ত্রাণ পাঠানোরও ব্যবস্থা করছেন রাজ। তিনি বললেন, “সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। অনেক জায়গায় টাকাও পৌঁছে গেছে। অনেক মানুষও এগিয়ে আসছেন।”
কিছু দিন আগে শুভশ্রী তাঁর সন্তানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘ বুক সমান জল পেরিয়ে বছর চারেকের একটা বাচ্চা খাবার নিতে এসেছে ত্রাণ শিবিরে। তোর কথা ভেবে, এরপরেও কী করে বেশি বেশি খাই বলতো?’ শুভশ্রী তাঁর শরীরের ভেতর বেড়ে ওঠা সন্তানকে খোলা চিঠি লিখেছেন। তিনি এও লিখেছিলেন, ‘মনটা বড্ড খারাপ। মনটাকে ঠিক রাখাতে সারাক্ষণ চেষ্টা করছি, কিছুতেই পারছি না। প্রেগন্যান্ট হলে হাসিখুশি থাকতে হয় এটা সবাই বললেও, কী করে থাকব বল তো! আমি তোর কথা ভেবেই তো সব ভোলার চেষ্টা করছি। আগে কখনও দেখিনি যে এত ধ্বংসস্তূপ আগে … কান্না চেপে রাখতে পারছি না। বারবার নিজের মনটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, না না, এখন মন খারাপ করলে চলে না! তুই কি ভাববি এটা ভাবছি। তারপরও নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না। তোকে আর দেখানো হল না গল্ফগ্রিন, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, ময়দানের সবুজ দৃশ্যগুলো। সেই বড় বড় গাছগুলো…সেগুলো তো শুধু গাছ ছিল না। ছিল হাজার হাজার পাখির বাসা। তুই দেখতে পেলি না।’
রাজ এই অন্যরকম ছবি পোস্ট করলেন, হয়তোবা শুভশ্রীর মন ভাল করার জন্যই। “সেপ্টেম্বরের আগে বাড়ি থেকে বেরব না আমি ঠিক করেছি। সে এসে বলবে, বাবা আমি এখন আছি, মাকে দেখছি। এ বার তুমি বেরুতে পার, তখন বাইরে যাব”, আবেগে ভাসলেন রাজ। এখন রাজ-শুভশ্রী সেপ্টেম্বরের সেই উজ্জ্বল দিনের অপেক্ষায় ।
এসএউএ/এসি