ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শ্রীলেখার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা, নিরব প্রসেনজিৎ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৯, ১৯ জুন ২০২০

ঋতুপর্ণা, অশোক ধানুকা ও শ্রীলেখা মিত্র।

ঋতুপর্ণা, অশোক ধানুকা ও শ্রীলেখা মিত্র।

সম্প্রতি 'টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটে স্বজনপোষণ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যদিও এক্ষেত্রে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননা বলে জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে মুখ খুলেছেন প্রযোজক অশোক ধানুকাও।

শুধুমাত্র প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে জুটি বেঁধেই কাজের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ২০০১-১০১৫ সাল পর্যন্ত প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির আর কোনও ছবি হয়নি। তারপরেও তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন বলে জানান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

এদিকে, 'অন্নদাতা' ছবি নিয়ে শ্রীলেখা যে অভিযোগ করেছেন, সে প্রসঙ্গেই এবার মুখ খোলেন প্রযোজক অশোক ধানুকা। তাঁর কথায়, ''আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে প্রথম ফোন করেছিলাম 'অন্নাদাতা' ছবির জন্য। তবে ঋতুপর্ণা সে সময় আমেরিকাতে ছিলেন, তাই আমি শ্রীলেখা মিত্রকে নিয়েছিলাম। তবে সে সময় যাঁদের দেখতে মানুষ চাইত, তাঁদেরকেই সাধারণত সিনেমায় কাস্ট করা হতো। আর শ্রীলেখা 'অন্নদাতা'র আগে কোনও ছবিতে নায়িকা হননি। তাই আমি শ্রীলেখার উপর ভরসা করতে পারিনি। আসলে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ছবিই তখন চলত, তাই এই জুটিকে নেওয়া হত। বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ) কোনওদিনই এনাকে নিতে হবে, ওনাকে নিতে হবে বলে ঠিক করে দেননি।''

তবে শ্রীলেখার অভিযোগ নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননা বলে জানিয়েছেন বুম্বাদা খ্যাত টলিউডের শক্তিমান অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

এর আগে, সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল মৃত্যুতে মুখ খোলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এ নিয়ে অনেক কথাই বলেন তিনি। শ্রীলেখার মতে, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে সুশান্তের মতই তাঁর কোনও গডফাদার ছিল না। ফলে কাজ পেতে এবং কাজ টিকিয়ে রাখতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তাঁর কথায় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে সবসময়ই পাওয়ার গেম চলে। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতার আস্ফালন।’

তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ১৯৯৭-৯৮ যখন তিনি অভিনয় করতে আসেন তখন জুটি হিসেবে হিট প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। কোনওদিনই মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলাম না। সবদিনই নায়িকার বোন, দিদি হয়েই থাকতে হল। এমনকী জুটিও তৈরি করতে পারলাম না।

তাঁর কথায়, আসলে আমি ক্যামেরার সামনে ভালো নাটক করতে পারি। কিন্তু ক্যামেরাটা বন্ধ হয়ে গেলে অভিনয়টা আর করতে পারি না। ফলে প্রথম দিন থেকেই আমি এখানে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারলাম না। কিন্তু মুখে বলা হত আমি অভিনয়টা ভালো পারি। হিরোইন হওয়ার যোগ্য। কিন্তু সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরই কীভাবে যেন বাদ পড়ে যেতাম। আজ আমার বাড়ির নীচে দামি গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না। কিন্তু আমার রাতের ঘুমটা তাঁদের থেকে অনেক ভালো হয়। নিজের শর্তে খুব ভালো আছি। 

শ্রীলেখা স্পষ্টভাবে বলেছেন, হ্যাঁ, আমি ডিপ্রেশনের রোগী। তবে হারিনি। আমার অভিমান খুব ব্যক্তিগত। আমি কাজ পাওয়ার জন্য প্রেম করতে চাইনি। কোনও ছলানিপনা নেই। আমি সৎ, আমি যখন থাকব না তখন যাতে আমার সততাটুকু থেকে যায় সেই চেষ্টাই করেছি। আমি কাঁধ চাই না। আমার কাধ খুব শক্ত। আমার কাঁধেই অনেকে মাথা রাখতে পারে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি