কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য আর নেই
প্রকাশিত : ২১:৩১, ২৫ জুন ২০২০
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে প্রভাবশালী উপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ‘মেমসাহেব’, ‘তোমাকে’, ‘গোধূলিয়া’ কালজয়ী এ উপন্যাসসমূহের স্রষ্ঠার মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিমাই ভট্টাচার্য ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শরশুনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যশোরের সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়েছেন তিনি। তারপর ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় চলে যান কলকাতায়। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয় এবং তিনি দীর্ঘ পঁচিশ বছর দিল্লিতে ভারতীয় পত্রিকার রাজনৈতিক-কূটনৈতিক-সংসদীয় সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভারতের অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফর করে বিদেশ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেছেণ। ১৯৬৩ সালে তার লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। এরপর তার চারটি উপন্যাস একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দেড়শতাধিক। বাংলা সাহিত্যে ‘মেমসাহেব’ উপন্যাসটি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা। মেমসাহেব বই অবলম্বনে ১৯৭২ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং অপর্ণা সেন। অমৃত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘রাজধানীর নেপথ্যে’ ছাপা হওয়ার পর লিখেছেন ‘রিপোর্টার’, ‘পার্লামেন্ট স্ট্রিট’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘মিনিবাস’, ‘মাতাল’, ‘ইনকিলাব’, ‘ব্যাচেলর’, ‘কেরানি’, ‘ডার্লিং’, ‘নাচনি’, ‘প্রিয়বরেষু’, ‘পিকাডিলী সার্কাস’, ‘কয়েদী’, ‘জংশন’, প্রবেশ নিষেধ, ‘ম্যাডাম’, ‘ককটেল’, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান’ ইত্যাদি উপন্যাস। জীবদ্দশায় সাহিত্য কর্মের জন্য অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন বরেণ্য এই কথাসাহিত্যিক।
এমএস/