ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল একুশে টেলিভিশনের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৫৪, ২৯ মে ২০১৭

পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে একঝাঁক তরুন সংবাদকর্মী ও নির্মাতাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন, একুশে টেলিভিশন। লক্ষ্য ছিল বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযেুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়া। কিছু স্বপ্নচারী মানুষের হাত ধরে, পথচলা শুরু হয়েছিল একুশে টেলিভিশনের।
বস্তুনিষ্ট ও চমকপ্রদ সংবাদ আর দেশজ ব্যাতিক্রমী বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে, ২০০০ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় একুশে টেলিভিশনের। বিশ্বের বুকে সঠিকভাবে তুলে ধরতেই একুশে হয়ে উঠে বাংলাদেশের জানালা।
কিন্তু এই পথচলা সহজ ছিল না। সময়টি ১৯৯৮ সাল, যখন বেসরকারী খাতে টেলিভিশন দিতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। টেন্ডারে অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার সুযোগ পান একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবু সায়ীদ মাহমুদ। ভাষা আন্দোলনে অগ্রনী ভুমিকা রাখা এই সংগঠকের লক্ষ্য ছিল নিজের এবং সকলের মুক্ত চিন্তাগুলো একত্রিত করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ শুরু হয় ভবন তৈরির। শুন্য থেকে নব উদ্যমে নতুন পথে চলার বৃহৎ এই উদ্যোগের কাজ যেন থেমে না যায় সেজন্য বনানীতে চলে অস্থায়ীভাবে অফিস গোছানোর কাজ। এরইমধ্যে চুক্তি সই হয় সরকারের সাথে।
বিশ্বমানের সংবাদ আর অনুষ্ঠান তৈরিতে খুঁজে আনা হয় একঝাঁক তরুন নির্মাতা ও সাংবাদিক। বিবিসি টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেমন দিয়েছে, তেমনি প্রশিক্ষন দিয়েছে সংবাদ তৈরির প্রক্রিয়ায়। এ উদ্যোগকে জীবন্ত করে তুলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক সায়মন
নতুন দ্বার খুলে, নতুন সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে শুরু হয় একুশে টেলিভিশনের পথচলা। এরপর আর পেছনে তাকানো নয়, নির্ভিক সংবাদ আর বিনোদনের ডালি নিয়ে শুধুই সামনে এগিয়ে চলা।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি