মোমেনার নাটক দিয়ে খুললো দেশের থিয়েটার
প্রকাশিত : ১০:৪৭, ২৯ আগস্ট ২০২০
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে টানা সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দরজা খুললো ঢাকার কোনও থিয়েটারের। মঞ্চে জ্বলে উঠলো নানা রঙের আলো। মঞ্চ থেকে হলজুড়ে কেঁপে কেঁপে উঠলো সংলাপ। গ্যালারি থেকে ভেসে এলো মুহূর্মুহু করতালি। আর এর মধ্য দিয়ে নাট্যপ্রেমীদের মনের আলোও জ্বললো।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বেইলি রোডের থিয়েটার হল মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে শূন্যন রেপার্টরির নাটক ‘লালজমিন’ নিয়ে মঞ্চে হাজির হন মোমেনা চৌধুরী। ফলে নাট্যপ্রেমীদের দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাসের শূন্যতা দূর হলো। দীর্ঘদিন পর এদিন থিয়েটার অঙ্গনে আলো জ্বলে ওঠে।
মান্নান হীরার রচনা এবং সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় টিভি ও মঞ্চাভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ের নাটক ‘লাল জমিন’-এর প্রদর্শনী হলো। এই বিশেষ নাটকটির মধ্য দিয়ে টানা সাড়ে ৫ মাস পর দেশের কোনও থিয়েটারে ফিরলো নাটক ও নাট্যপ্রেমীরা। আগত দর্শকদের অভিমত এমন, এটা শুধু মঞ্চের আলো জ্বলা নয়, জ্বললো নাট্যপ্রেমীদের নিভু নিভু মনের আলোও।
সন্ধ্যার এই আয়োজনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের প্রবেশ করানো হয়েছে হলরুমে। নিয়ম করা হয়েছে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার। হলরুমের প্রবেশমুখে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে এবং শরীরে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে দর্শকদের। হলের ভেতরে দুই আসন পর পর একজন করে দর্শক বসানো হয়েছে।
২৮ আগস্ট মহিলা সমিতির মঞ্চ বিন্যাস ছিল ‘নিউ নরমাল’ নিয়মে। এই মঞ্চায়ন সম্পর্কে মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটক মঞ্চায়ন আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমার সামনে বসা দর্শকদের মুখে মাস্ক পরা, যার জন্য চিরাচরিত এক্সপ্রেশন দেখা হয়নি। কিন্তু এটাও তো বড় আনন্দের বিষয়, ফের আমরা থিয়েটার খুলেছি, মঞ্চে উঠেছি, করতালি পাচ্ছি।’
দীর্ঘদিন পর মঞ্চে নাটক ওঠার খবরে নাট্যাঙ্গন ছিল উৎসবমুখর। ঢাকার বাইরে থেকেও নাটক দেখতে এসেছেন দর্শকরা। অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন মঞ্চকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশে নাট্য প্রদর্শনী বন্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। এর পর মঞ্চনাটকের আর কোনো প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়নি।
এএইচ/এমবি