ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যু, শৌচাগারে মিলল লাশ
প্রকাশিত : ১১:৫০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রের বরাতে জি নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাসার শৌচাগার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, তার তেমন কোনো অসুস্থতা ছিল না। তবে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে কাজ করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বাড়ির লোকের তথ্য অনুযায়ী, শর্বরী দত্ত হরমোনাল ওষুধের ওভার ডোজে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ যখন যায়, তখন মৃতদেহ বেডরুমে বিছানায় শোয়ানো ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে বাড়ির লোক হঠাৎ মৃতদেহ সরাতে গেলেন কেন?
সেই প্রশ্নের উত্তরে তাদের বক্তব্য, শর্বরী দত্তের ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান এসে দেহ পরীক্ষা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেন। তারই পরামর্শে দেহ বাথরুম থেকে বেডরুমে শিফট করা হয়।
এতেও প্রশ্ন ওঠে, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশ কেস আছে। তাও একজন পেশাদার ডাক্তার বাড়ির লোককে দেহ শিফট করার পরামর্শ কেনো দিলেন?
ফলে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে। শর্বরী দত্ত জ্ঞান হারিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে যান বা পড়ে ছিলেন বলে বাড়ির লোক পুলিশকে জানিয়েছেন। এইভাবে কেউ পড়লে তার মাথার পিছনে আঘাত লাগে। প্রাথমিকভাবে মাথার পিছন দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ইন্টারনাল আঘাত আছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।
এছাড়া পুলিশকে সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে শর্বরী দত্তের বা পায়ের গোড়ালির নিচে একটি টাটকা কাটা দাগ নিয়ে। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই এই দাগের সম্পর্ক নেই। তবে দাগ এলো কোথা থেকে? এটা কি কোনও অস্ত্রের দাগ নাকি অন্য কিছু, তাও জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দশক ধরে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শর্বরী দত্ত। বাংলা চলচ্চিত্র জগতেও তিনি ছিলেন অতি সুপরিচিত নাম।
এসএ/