ঢাকা, বুধবার   ০৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মিঠুন পরিবারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১৭ অক্টোবর ২০২০

স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী

স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী

Ekushey Television Ltd.

বলিউড ও টলিউড মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় (মিমো) চক্রবর্তী এবং স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করলেন এক তরুণী মডেল। তবে এ বিষয়ে শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত মিঠুন বা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশি সূত্রে খবর- গত ১৫ অক্টোবর মিমো এবং যোগিতার বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগকারিনী তার বয়ানে জানান, ২০১৫ সাল থেকে তিনি মিমোর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। একবার মিমো তাঁর সফ্‌ট ড্রিঙ্কে মাদক মিশিয়ে দিয়েছিলেন এবং তারপর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেছিলেন। মহাক্ষয় চক্রবর্তী অভিযোগকারিনীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ। তবে যোগিতার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ, তা জানা যায়নি।

অভিযোগকারিনীর দাবি, প্রথমে তিনি মুম্বাইয়ে এফআইআর দায়ের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এরপর তিনি দিল্লি গিয়ে সেখানকার আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়। তারপরেই মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় মিঠুনের ছেলে এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই এফআইআর দায়ের করা হয়। আজ সকালেই বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। তবে চক্রবর্তী পরিবারের পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

মিঠুন চক্রবর্তী অবশ্য বেশ কয়েকমাস ধরেই সেভাবে আর ‘পাবলিক লাইফ’-এ নেই। রাজনীতিতেও নেই। সারদা মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর প্রথমে সিবিআইকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। তারপর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর থেকেই মিঠুন কার্যত অধরা। তবে এর মধ্যে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন একটি ডান্স রিয়্যালিটি শো'র বিচারক হিসাবে। সেই শো-এর জন্য তিনি শ্যুটও করেছিলেন। কিন্তু এছাড়া তাঁকে বাইরে বিশেষ দেখা যায়নি। মাঝখানে তাঁর গুরুতর অসুস্থতার খবরও রটেছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, মিঠুনের অসুস্থতা ততটা গুরুতর নয়।

এদিকে, ঘটনাচক্রে মিঠুনের বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমোর বলিউড কেরিয়ার সেভাবে দানা বাঁধেনি। ‘মিঠুনপুত্র’ হওয়ায় তাঁর উপর প্রত্যাশার চাপও ছিল প্রচুর। যা তিনি নিতে পারেননি বলেই ধারণা সচেতন মহলের।

কিন্তু এই ‘বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক’-এর অভিযোগ মিমো, যোগিতা এবং সর্বোপরি মিঠুন কীভাবে সামাল দেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জনমানসে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন করেন কি না, তা-ও দেখার বিষয়। ওশিয়ারা থানা তাঁদের বিরুদ্ধে কি রকম পদক্ষেপ নেয় সেটাও দেখার বিষয়। সূত্র- আনন্দবাজার।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি