তরুণদের মন কেড়েছেন সংগীত শিল্পী জাহাঙ্গীর
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ৮ নভেম্বর ২০২০
জাহাঙ্গীর আলম
‘করোনাকে করবো জয়, ও প্রিয়তমা রে- এই বুকেতে কি আগুন জ্বেলেছো দাও নিভিয়ে, প্রিয়া এখন পিয়নের প্রেমে পড়ে গেছে এবং ও সাথী আমার মরণ দেখে যাও তুমি’ -গানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে দারুণ সাড়া জাগিয়েছে। নওগাঁর ধামইরহাটের তরুণ শিল্পী জাহাঙ্গীর আলমের গাওয়া এই গানগুলো এখন এলাকার কিশোর তরুণদের কণ্ঠে কন্ঠে।
পেশাদার শিল্পী না হলেও ইতোমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মন কেড়েছে সঙ্গীত শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম। ক্ষুদ্র ব্যবসার পাশাপাশি নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করে যাচ্ছেন উদীয়মান এই তরুণ শিল্পী। ইতোমধ্যেই তার তিনটি মিউজিক ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ধামইরহাট উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরিবারে এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম বড়। দারিদ্র বাবার সংসারে অল্প বয়সে দায়িত্ব নিতে গিয়ে লেখাপড়ার দৌড় থামে মাধ্যমিক পর্যন্ত। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি গানের সুর নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। সংসারের ব্যয়ভার বহনের পাশাপাশি নিজেকে বিকশিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ছুটে যান গানের জ্ঞান অর্জন করতে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খুব অল্প বয়স থেকে স্কুলে গান গাওয়ার অভ্যাস এখনও তাকে ছেড়ে যায়নি।
সম্প্রতি ধামইরহাট উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে নিয়মিত গান চর্চা করেন, অংশ নেন বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলমের গান মুগ্ধ করেছে দর্শক শ্রোতাদের। তরুণ প্রজন্ম দিনে একবার হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ইউটিউবে শিল্পী জাহাঙ্গীর আলমের গান শোনেন। ইতিমধ্যেই তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার দিগুণ হয়েছে।
নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার আকুতি নিয়ে শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ থেকে প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রতিদিন বাড়ী থেকে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পথ সাইকেলযোগে বীরগ্রামে গিয়ে সঙ্গীত শিল্পী আজাদ রহমানের নিকট গান শিখতাম। তিনিই আমাকে হাতেখড়ি দিয়েছেন, সংগীতের বীজ বুনেছেন আমার হৃদয়ে। এখন আমার ৩টি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এবং আরও ৩টি নতুন গানে কাজ করছি, শ্রীঘ্রই তা বাজারে আসবে।
ধামইরহাট সোনার বাংলা সংগীত একাডেমীর সংগীত প্রশিক্ষক ও সংগীত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান) জানান, নিজের জ্ঞান-মেধা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে না পারলে সেই জ্ঞান ও মেধা মূল্যহীন। আমি সমাজের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছি। জাহাঙ্গীর আলমের মতো অনেক শিল্পীই আছে, যারা চায় সমাজের একটু সহানুভূতি ও দায়িত্বশীলদের পৃষ্ঠপোষকতা।
এনএস/