মাইনকার চিপায়: অন্ধকারের অন্য গল্প
প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ১৭ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৭, ১৯ নভেম্বর ২০২০
গল্পটা মাদক নিয়ে। যা কেবল অন্ধকারের পথই দেখায়। মাদকই তিন তরুণকে এক গাড়িতে তুলেছে। চলেছে অন্ধকার পথে। আর এই পথেরই কাহিনী মাইনকার চিপায়’। মাদক যে মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংস করে তাই তুলে ধরা হয় এই ওয়েব ফিল্মে।
‘মাইনকার চিপায়’ দেশের প্রথম ওয়েব ফিল্ম যা প্রচারিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভ’ এ। এরইমধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে ওয়েব ফিল্মটি। জি ফাইভ’ এর জন্য নির্মিত ওয়েব ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আবরার আতহার। এতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো, শ্যামল মাওলা ও শরিফুল রাজ।
ওয়েব ফিল্মের শুরুতেই দর্শকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে দেন নিশো। তিনি বলেন, মাদক এমন একটা বস্তু যা আপনাকে শেষ করে দিবে।’ নিশো আরো বলেন, বার বার বলতে চাই, মাদক থেকে বিরত থাকুন, মাদক থেকে বিরত থাকবেন।’
রাতে মাদকের জন্য বিশাল গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ধনীর ছেলে সামির আহমেদ। ওই ভূমিকায় অভিনয় করেন শরিফুল রাজ। ওই সময়েই নিশোর আগমন। উবার কিনা জানতে চায়, গাড়ি দিয়ে চানখাঁরপুলে নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। মাদকের নেশায় অস্থির সামির প্রচন্ড- বিরক্ত হয়ে গালিগালাজ করে নিশোকে তাড়িয়ে দেয়। এরপরই আসে মাদক ব্যবসায়ী শ্যামল মাওলা। ফিল্মে যার নাম শফিক আনসারী। সাথে মাদকের প্যাকেট। গাড়িতে দুইজনের বসার কথা। কিন্তু ঢুকে পড়ে আরেকজনও। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। কলাকুশলীরা পড়ে ঝামেলায়। পুরানো ঢাকার ভাষায়- মাইনকার চিপায়।’
রাত বাড়ে। গল্পটা এগোয়। সামিরের অপেক্ষা মাদকের। কখন সে একটু মাদক নিতে পারবে। শফিকের অপেক্ষা জীবনের। আর মাদক আর জীবন নিয়ে খেলতে থাকে আরেকজন। ওই খেলাতেই দর্শকরা অনুভব করবে টান টান উত্তেজনার। কিছুক্ষণ পর কী হবে তা বোঝারও কোনো উপায় নেই।
গল্পের চিত্রনাট্য লিখেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন। এটি তাঁর প্রথম চিত্রনাট্য। কাজ দেখে বোঝার উপায় নেই এটিই তাঁর প্রথম। অসাধারণ সব সংলাপে দর্শক মাতিয়েছেন নিশো, শ্যামল মাওলা আর শরিফুল রাজ। এখানে একটি চরিত্র কবিতা লেখে। কবিতা হিসেবে তিনি চালিয়ে দেন জেমসের একটি বিখ্যাত গানের কথা। তাতে কী? মাদক জগতে তাতে কিই বা আসে যায়! সেই কবিতা নিয়েই মাইনকার চিপায়’ আছে দারুণ সংলাপ, বাংলার বুকে শতকরা একশো পাঁচ ভাগ পোলাপান কবিতার বই ছাপায়।’
রিভলবার যার কাছে, গাড়ি, মাদক, মানুষের জীবন তাঁরই হাতে। আর এখানেও আছে দারুণ সংলাপ, একবার তুই নাচবি, একবার ওয় নাচব। আমি হলাম মালেক আফসারী, ডিরেকশন দেই।’ কেউ কথা বলতে চাইলেই বলা হচ্ছে, মুখ খুললেই আমি মাইন্ড করব।’
রাত বাড়ে তিন পাত্তির খেলা’ নামে –জীবন নিয়ে খেলা চলতে থাকে। ওই খেলায় কোনো জয় নেই। আছে কেবল মানুষের পরাজয়। মাদক মানুষকে ঘন অন্ধকারে নিয়ে যায় আর মানুষকে পরাজিত করে।
ওয়েব ফিল্মটিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, শ্যামল মাওলা আর শরিফুল রাজ। বিশেষ করে নিশো চিরাচরিত ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে অন্য আঙ্গিকে কাজ করেছেন। দর্শকরা নিশোকে অন্যভাবে পাবেন। নিজেদের নজরকাড়া অভিনয় দিয়ে নতুন কিছুর ইঙ্গিতই দিলেন তিন তরুণ।
আরকে//