এটিএম শামসুজ্জামানের সর্বশেষ অবস্থা
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তাকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে অভিনেতার করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ। তবে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আজ রিপোর্ট হাতে এলেই বিস্তারিত জানা যাবে। মূলত অ্যাজমাজনিত কারণেই তার এ শ্বাসকষ্ট বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার সঙ্গে বুকে শব্দও হচ্ছিল। পাশাপাশি রেগুলার চেকআপ করার সময়ও হয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি করেই বাবাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
দেশের ছোট ও বড়পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানান কোয়েল।
কোয়েল আরও বলেন, এর আগে দু’দিন ধরে আব্বার বমি হচ্ছিল। তখন আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভর্তি হতে চাননি। পরে বুধবার দুপুরে খাওয়ার পরে দেখি ওনার শরীরটা বেশ খারাপ। তখন জোর করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঠাণ্ডাসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
এসএ/