ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনায় স্থবির সাংস্কৃতিক অঙ্গন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১২, ২৭ মে ২০২১

করোনা মহামারি অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি, স্থবির করে দিয়েছে দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণও। থমকে গেছে মঞ্চনাটক, চিত্র-প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র শিল্পের কাজ। তবুও সংশ্লিষ্টদের আশা, আবারও আসবে সুদিন, মানুষ মিলবে মানুষের সাথে।

“পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।” জীবনানন্দ দাশের কালজয়ী এই কবিতা ৭০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক। বিশ্ব এখন করোনার সাথে যুদ্ধ করছে, দেশ-বিদেশে মরছে মানুষ। 

করোনার এই সংকটকালে থমকে আছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণ। কী মঞ্চ, কী চিত্র প্রদর্শনী, কিংবা চলচ্চিত্র- স্থবিরতা এখন সবখানেই। করোনায় বন্ধ সিনেমা হল। গেল ১৪ মাসে মাত্র ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। নববর্ষ ও ঈদের মতো বড় উৎসবেও নতুন সিনেমার মুখ দেখেননি দর্শক। তাই লোকসানের ফাঁদে চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টরা।  

চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, বিগ বাজেটের ৩০ থেকে ৩৫টি সিনেমা এখনও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এই পরিস্থিতিতে সিনেমাগুলো তারা রিলিজ করতে তারা সাহস পাচ্ছে না।

রঙ তুলির আঁচড়ে যারা দেশকে বিশ্বে তুলে ধরেছিলেন; সেই জয়নুল আবেদীন কিংবা এসএম সুলতানের পরবর্তী প্রজন্মের আঁকিয়েদের ছবির প্রদর্শনীও বন্ধ। ফাঁকা সব আর্ট গ্যালারী।

ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল অল্টারনেটিভের কারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, ছবিগুলো আঁকার পড়ে যা রসিকজনের সামনে উন্মুক্ত করতে হয় তাদের উপভোগ করার জন্যে। সেটিও অনেকাংশে অনলাইনেই চলছে। 

দেশের মঞ্চনাটক প্রদর্শনীর অন্যতম কেন্দ্রস্থল মহিলা সমিতি মিলনায়তন ও শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা। নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ। তালা ঝুলছে মঞ্চের দুয়ারে। শিল্পীদের মহড়াও নেই। 

অভিনেত্রী ও নাট্যকার-নির্দেশক নূনা আফরোজ বলেন, টেলিভিশনের কাজ চলছে কিন্তু আর্ট-থিয়েটার থেমে আছে। এই সময়টাতে থেমে থাকাটাই উচিত। 

গেল বছরের মার্চের পর শিল্পকলার চেনাজানা দৃশ্যগুলো কেবলই অচেনা। তবে প্রাণের জন্য যে আকুতি তা নিয়ে সোচ্চার মঞ্চের প্রাণপুরুষরা। তারা বলছেন, মানুষের জন্য মঞ্চের যে সংগ্রাম, তা নিশ্চয়ই ফিরবে সময় স্বাভাবিক হলে। আবারও শত আলো জ্বলবে মঞ্চে, মানুষ মিলবে নাট্যোৎসবে। 

অভিনেতা ও নাট্যকার-নির্দেশক, নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, থিয়েটার তো একটা শিক্ষার জায়গা। সেই জায়গাটা একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করি, অতি দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে আমরা আবার দর্শকের কাছে চলে আসবো।

বিপর্যয় কাটিয়ে আবার সরব হতে চায় সাংস্কৃতিক অঙ্গণ। এখন কেবলই করোনার আঁধার কাটার অপেক্ষা। শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয়ের প্রত্যাশা।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি