সিগারেট হাতে কী বার্তা দিলেন পরী?
প্রকাশিত : ১১:৩৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। মাদক ও বোট ক্লাব কাণ্ডে বেশকিছু দিন ধরেই তিনি ছিলেন শোবিজের শীর্ষ শিরোনামে। এরপর মামলা, দফায় দফায় রিমান্ড এবং জামিনে মুক্তিকে কেন্দ্র করে সংবাদপত্রে উঠে আসে নানান খবর। এখানেই শেষ নয়, মুক্তির দিন হাতে মেহেদি দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ লেখা আবারও আলোচনায় নিয়ে আসে তাকে। একই কাণ্ড ঘটে দ্বিতীয়বার। তবে এবার সেরকম কিছূ নয়, নতুনভাবে আলোচনার জন্মদিলেন নায়িকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন দুটি ছবি আপলোড দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সিগারেট হাতে এবার তার দৃঢ় চাহনি সরাসরি ক্যামেরায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নতুন এই ছবিগুলো পোস্ট করেন পরীমনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে- সিগারেট হাতে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন ঢালিউড সুন্দরী। তার পরনে সাদা-কালো রঙের টপস, খোলা চুলে চোখে চশমা, পায়ে পরেছেন কেডস। সেখানেও তার হাতের ‘…ক মি মোর’ লেখাটি স্পষ্ট।
ছবির ক্যাপশনে ইংরেজিতে লিখেছেন, ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তিনি যে তার জীবনযাপনের পদ্ধতি নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী এবং যে কোনো বিপদ আসলেও তা নিয়ে চিন্তা করতে চান না, তাই যেন বুঝিয়ে দিলেন এবার। তবে ছবি পোস্ট করে শুধু ক্যাপশনে ধূমপান নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেই দায় মুক্ত হওয়া যায় কি না তাও একটি প্রশ্ন।
এর আগে গত বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে যান পরী। সেখানে মেহেদি দিয়ে হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘…ক মি মোর’। মিডিল ফিঙ্গার দিয়ে সেই লেখার কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন পরীমণি। জানান, আমার জীবন নিয়ে যারা খেলতে চায়, তারা আমার ক্ষতি করতে চায়, তাদেরকেই স্বাগত জানাচ্ছি আমি। এর আগে জামিনে কারামুক্ত হওয়ার সময় ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ লিখে আলোচিত হন পরী। সেই লেখার কারণও জানিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।
সবশেষ ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
এসএ/