‘আইনের আওতায় আনা হতে পারে তাহসান-ফারিয়াকে’
প্রকাশিত : ২২:১৫, ১১ অক্টোবর ২০২১
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালিতে প্রতারণার সঙ্গে যদি শিল্পী তাহসান ও শবনম ফারিয়ার দায় থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়া অন্তত ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে সিআইডি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিতর্কিত এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
গত ১০ মার্চ অনলাইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র ‘ফেইস অব ইভ্যালি’ (শুভেচ্ছাদূত) ঘোষণা করা হয় তাহসানকে। তিনি শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পরের মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও গ্রাহকের পণ্য সময়মতো পৌঁছে না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়তে থাকে। সবদিক বিবেচনা করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় ইভ্যালি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান তাহসান।
চলতি বছরের জুনে ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কিন্তু ইভ্যালির এমডি রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, শবনম ফারিয়ার বেতনের অধিকাংশই রয়ে গেছে বকেয়া। তিনি আর এই প্রতিষ্ঠানের সাথে নেই।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এসি