পরীমনিকে রিমান্ড দেয়া বিচারকদের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
প্রকাশিত : ১৭:২৫, ৩১ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৭:৫৬, ৩১ অক্টোবর ২০২১
উচ্চ আদালতের রায় না মেনে পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে করা মামলায় সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এর আগে গত দুই সেপ্টেম্বর এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।
বিচারকদ্বয় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন দুই বিচারক।
এর আগে ২৯ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের রায় না মেনে পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমনির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।
ওই দিন পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্য মাদকদ্রব্য জব্দ করে র্যাব।
এমএম/এসি