অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৯:০৬, ২১ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৯:১৭, ২১ নভেম্বর ২০২১
ত্রিপুরায় পুরভোটের আগেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে তাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে আগরতলা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা ঘিরে বিজেপি-র তাণ্ডবের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীকারীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী এবং নেতা। এই প্রেক্ষিতে টুইট করে বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কিছু পরেই গ্রেফতার করা হল সায়নীকে।
সায়নীর গ্রেফতার নিয়ে টুইটে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেফতার হল না। গ্রেফতার হল সায়নী।’
রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সহকর্মীর পাশে থাকতে থানাতেই রয়েছেন সুস্মিতা দেব-সহ সাবেক সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও কুণাল ঘোষ। সায়নীকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা থানাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
সুস্মিতার দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করা হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে নিয়ে তৃণমূল নেতারা আগরতলা মহিলা থানায় ঢোকার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, ‘‘পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এ ভাবে তৃণমূলের পথরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নেতা কর্মীদের উপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।’’
শেষমেশ রবিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হল সায়নী ঘোষকে। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি