মিস ইউনিভার্স কে এই হারনাজ কাউর?
প্রকাশিত : ১৭:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
হারনাজ কাউর সান্ধু
সুস্মিতা সেন, লরা দত্তের পর ২১ বছর পর তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে মিস ইউনিভার্স বা বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করলেন ঠিক ২১ বছর বয়সী পাঞ্জাবের শিখ পরিবারের মেয়ে হারনাজ কাউর সান্ধু। কিন্তু কে এই হারনাজ, কি আর পরিচয়? চলুন জেনে নিই তাঁর বিস্তারিত।
সোমবার সাত সকালেই ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে গর্বে বুক ফুলানোর সুযোগ করে দেন চণ্ডীগড়ের তরুণী হারনাজ। এই সুন্দরীর হাত ধরেই মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে ২১ বছরের মুকুট খরা কাটল ভারতের।
এদিন ইসরাইলের এইলাতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় গোটা বিশ্বের ৭৯টি দেশের প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে সেরা সুন্দরী হন হারনাজ। হারনাজের মাথায় এদিন মুকুট পরিয়ে দেন ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা।
২১ বছরের এই সুন্দরী চণ্ডীগড়ের জনপ্রিয় মডেল। ওই শহর থেকেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত হারনাজ। ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার খেতাব। তবে এতদিনে নিজের স্বপ্ন পূরণে সফল হলেন হারনাজ।
হরনাজের ইনস্টাগ্রাম বায়ো ঘেঁটে দেখা যায়, সেখানে লেখা আছে- ‘তুমি এমনভাবে জ্বলে ওঠো, যাতে এই গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তোমার হয়’। যেমন কথা তেমনই কাজ। এদিন সত্যিই নিজের রূপ, লাস্য আর বুদ্ধিমত্তার জাদুতে গোটা ব্রহ্মাণ্ডকেই নিজের দিকে আকৃষ্ট করে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হলেন হারনাজ।
এর আগে ২০১৭ সালে টাইমস ফ্রেশ ফেস মিস চণ্ডীগড়ের খেতাব জেতেন হারনাজ, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭! পরের বছরই মিস ম্যাক্স ইমার্জিং স্টার ইন্ডিয়ার মুকুট ওঠে হারনাজের মাথায়। পরের বছরই জেতেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পাঞ্জাবের তাজ। আর গত ৩১ সেপ্টেম্বর মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স-এর মুকুট উঠেছিল হরনাজের মাথায়। চলতি বছর মিস ডিভা ২০২১-এর খেতাবও জিতেছেন চণ্ডীগড়ের এই লাস্যময়ী।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় ছক ভাঙার অনুপ্রেরণা হারনাজ পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকেই। তাঁর মা পেশায় একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। মা-ই তাঁর সব শক্তির উৎসস্থল বলেই জানিয়েছেন হারনাজ।
অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া, যোগ ব্যায়াম, নাচের অনুশীলন কিংবা ঘোড়া ছোটাতে ভালোবাসেন হারনাজ। দাবা খেলাতেও পারদর্শী তিনি। এক কথায় বিউটি উইথ ব্রেইন- অর্থাৎ ডেঞ্জারাস কম্বিনেশনের অধিকারী হারনাজের পানির সঙ্গেও বন্ধুত্ব ভারী। সময় পেলেই সুইমিং পুলে তনু ভিজিয়ে নেন তিনি। নিজেকে ‘ওয়াটার বেবি’ বলেও পরিচয় করিয়ে দিতে ভালোবাসেন এই সুন্দরী।
‘কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে’- কথাটি মনেপ্রাণেই বিশ্বাস করেন হারনাজ। জানিয়েছেন, ‘তাদের সঙ্গেই জীবনে সেরাটা ঘটে, যাঁরা বিশ্বাস রাখে, চেষ্টা চালিয়ে যায়, শেখার আগ্রহ দেখায় এবং সবসময় কৃতজ্ঞ থাকে’।
নিক ঘরণী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অনুরাগী এই পাঞ্জাব সুন্দরী। ২০০০ সালের মিস ওয়ার্ল্ডই নাকি হারনাজের অনুপ্রেরণা। পাঁচ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই বিশ্ব সুন্দরীর জন্ম ৩ মার্চ। চুলের রঙ কালো হলেও তিনি বাদামী চোখের অধিকারিণী। পাঞ্জাবী, হিন্দি ও ইংরেজি এই তিন ভাষাতেই সমান পারদর্শী হারনাজ কাউর।
এনএস//