হুমকির জেরে পাল্টে যাচ্ছে সানির গানের নাম ও কথা
প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
লাল-কালো-সাদা খোলামেলা পোশাক। বৃন্দাবনে রাধার বেশে একদা পর্ন-তারকা। রিমেক গানের স্রষ্টা ইসলামধর্মী শারিব-তোশী। একাধিক ক্ষেত্রে আপত্তি তুলে সদ্য মুক্তি পাওয়া সানি লিওনের গানের ভিডিও ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ইতিমধ্যেই সরাসরি ‘হুমকি’ দিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রীকে। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘‘সানি লিওনকে তার ভিডিও নেটমাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। অন্যথায় আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’’ তার পরেই রবিবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে গানের সংস্থা ‘সারেগামা’।
সংস্থা জানিয়েছে, তারা বিতর্কিত গানের কথা এবং নাম বদলে দিতে প্রস্তুত।
১৯৬০-এর ছবি ‘কোহিনুর’-এর জনপ্রিয় গান ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’। তারই রিমেক ভিডিও হিসেবে তৈরি হয়েছে এই গানটি। এর আগেই ভিডিওটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতেরা।
তাদের অভিযোগ, রাধার নামে কুরুচিকর গান তৈরি হয়েছে। এই ভিডিও হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে দাবি করেছেন ওই পুরোহিতদের একাংশ।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কয়েক জন বিধর্মী ক্রমাগত হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করছে। ভিডিওটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি সানি লিওন, শারিব এবং তোশিকে সতর্ক করছি। তারা যদি তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা না চান এবং গানটি সরিয়ে না দেন, তা হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
বিজেপির মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরেই রাতে ‘সারেগামা’র বিবৃতি— ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং আমাদের সহ-নাগরিকদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে ‘মধুবন’ গানটির কথা এবং নাম বদলে দেব। আগামী তিন দিনের মধ্যে পুরনো ভিডিওটি বদলে নতুন ভিডিও দেখা যাবে নেটমাধ্যমে।’
শুধু সানি নন, নরোত্তমের তোপের মুখে পড়েছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ও। পোশাকশিল্পী তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নিজের তৈরি করা মঙ্গলসূত্রের বেশ কয়েকটি ছবি দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপনে মডেলদের পোশাক নিয়েই আপত্তি তোলে সমাজের একাংশ।
বিজ্ঞাপনে অন্তর্বাস পরে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা গিয়েছে মডেলদের। তাদের গলায় মঙ্গলসূত্র। সানির মতোই সব্যসাচীকে হুমকি দিয়েছিলেন নরোত্তম। বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বাংলার পোশাক শিল্পী ওই মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপন সরিয়ে না নেন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি-র আইনি উপদেষ্টা আশুতোষ জে দুবে সব্যসাচীকে আইনি নোটিশ পাঠালে সেই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি