ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতার জীবনাবসান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১০, ৮ জানুয়ারি ২০২২

অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পটিয়ার আর নেই। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি জীবনের শেষ সময়টা কাটান বাহামায়। সেখানেই ৬ জানুয়ারি মারা যান বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

সিডনি পটিয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন হলিউড তারকারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করে, ছবি শেয়ার দিয়ে গুণী এই মানুষটিকে মূল্যায়ন করেছেন তারা। ফেসবুক লাইভে এসে শোক প্রকাশ করেন বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস’ও।

ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদী আচরণের সময়ও অভিনয় গুণে ব্যস্ত আর দামি তারকা ছিলেন সিডনি পটিয়ার। আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতাদের পথিকৃৎ ভাবা হয় তাকে। হলিউডে বর্ণবৈষম্যের বিভেদ মুছে দিতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ১৯২৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সিডনি পটিয়ার। তাঁর বাবা-মা টমেটো চাষ করে আমেরিকায় নিয়ে বিক্রি করতেন। জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়া সিডনি পটিয়ার ১৬ বছরে বাহামা ছেড়ে চলে যান নিউ ইয়র্কে। সেখানে অভিনয় বিষয়ে পড়াশোনার ফাঁকে জীবিকা নির্বাহ করতে নানান চাকরি নিতে হয়েছে তাকে। এরপর কিছুদিন কাজ করেছেন সেনাবাহিনীতে। মঞ্চে অভিনয়ের পর রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি।

১৯৫৮ সালে ‘দ্য ডিফায়েন্ট ওয়ানস’ সিনেমা সিডনি পটিয়ারকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে অস্কারে সেরা অভিনেতা শাখায় মনোনয়ন এনে দেয়। এর পাঁচ বছর পর ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ সিনেমাতে কাজের সুবাদে সেরা অভিনেতার অস্কার ট্রফি ওঠে তার হাতে। ২০০২ সালে তাকে সম্মানসূচক অস্কার দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।

এছাড়াও ১৯৭৪ সালে ব্রিটেনের রানির কাছ থেকে নাইটহুড উপাধি পান সিডনি পটিয়ার। ২০০৯ সালে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ দেন তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৯৯৭ সালে জাপানে বাহামার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।

সিডনি পটিয়ার অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘দ্য ব্ল্যাকবোর্ড জঙ্গল’ (১৯৫৫), ‘অ্যা রেইজিন ইন দ্য সান’ (১৯৬১), ‘অ্যা প্যাচ অব ব্লু’ (১৯৬৫), ‘হিট অব দ্য নাইট’ (১৯৬৬), ‘টু স্যার, উইথ লাভ’ (১৯৬৭), “গেস হু’স ইজ কামিং টু ডিনার” (১৯৬৭)। 

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বেশকিছু চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেন।

সূত্র: রয়টার্স
এমএম/


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি