জন্মবার্ষিকীতে গোলাম মোস্তফাকে স্মরণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০১, ১২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:০৩, ১২ মার্চ ২০২২
তারুণ্য আর কবিতা বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। কবিতা শক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র অভিজ্ঞানকে শানিত করে বলে উল্লেখ করেন তারা।
বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী ও অভিনেতা গোলাম মোস্তফার ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে গুণিজন সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা, সত্তরের দশক থেকে ভরাট কণ্ঠ আর আবৃত্তি দিয়ে যিনি নান্দনিক বিস্ময়ে সৃষ্টি করেছেন শৈল্পিক সুষমা। যার আবৃত্তি এখনও অনুসরণীয় আবৃত্তি শিল্পে।
তার ৮৮তম জন্মদিনে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে চট্টগ্রামের বাচিক সংগঠন উচ্ছ্বাসের এই অনন্য আয়োজন।
শুধু ব্যক্তি মোস্তফাকেই নয়, তার কর্ম ও সৃজন নিয়ে কথা বলেন তারই অনুজ-তনয়সহ অনুরাগীরা।
তারা বলেন, প্রবল ব্যক্তিত্ব, দৃঢ়চেতা মন- এটা কি এখন আছে? তিনি কিন্তু কখনও পদকপ্রত্যাশী ছিলেন না।
সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে গোলাম মোস্তফার দরাজ কণ্ঠের আবৃত্তি। তাই কবিতাকে ভালবাসলে তাকেই সম্মান দেখানো হবে বলে মত বিশিষ্টজনের।
কবি হেলাল হাফিজ বলেন, “আশ্চর্য এক মানুষ ছিলেন গোলাম মোস্তফা।”
নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বলেন, “তারুণ্য একদিকে, অন্যদিকে চাঁদভাই গোলাম মোস্তফা আমাকে এখানে ডেকে এনেছে।”
শিল্পের জন্য শিল্প করতে হবে, এমন বোধ তরুণদের পাথেয় হিসেবে নিতে তাগিদ সংস্কৃতির পুরোধাদের।
একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেখেছি তিনি ভেতরে ভেতরে কতখানি রাজনীতিক হতে চলেছিলেন। এই রাজনীতিটা কি ছিল, কোনো দলের রাজনীতি- না। তাদের ছিল দেশকে ভালবাসার রাজনীতি, সমাজকে কলুষমুক্ত করার রাজনীতি।”
গোলাম মোস্তফার কণ্যা অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, “গোলাম মোস্তফা কোনো সংগঠনের সদস্য ছিলেন না। কিন্তু উনি কবিতা ভালবাসতেন। কবিতা পড়ে যে ছেলেমেয়েরা, তাদেরকে ভালবাসতেন।”
অনুষ্ঠানে গোলাম মোস্তফা আবৃত্তি ও গুণিজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় দুইজনকে। তারুণ্য উচ্ছ্বাস ও ঢাকা স্বরকল্পন পরিবেশন করে আবৃত্তি।
এএইচ/