উন্নত জাতি গড়তে ভূমিকা রাখবে চলচ্চিত্র : তথ্যমন্ত্রী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৯:৫৯, ২৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ২২:০৬, ২৩ মার্চ ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে চলচ্চিত্র শিল্প বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম-এ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘‘আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন যেমন হয়েছে, তেমনি মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত জাতি গঠন করার লক্ষ্যেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ প্রয়োজন, চলচ্চিত্র শিল্প সেক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’’
দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের সূচনা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বাঙালির মুক্তি নিহিত নেই বরং তারা আমাদের কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে। তাই প্রাদেশিক শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে এই জনপদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষা ও চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে তিনি ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন।’’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এবং তার পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ তুলে দেন।
জমকালো আয়োজনে এদিন মোট ২৭টি বিভাগে ৩২জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন দেশের বরেণ্য দুই অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। রাইসুল ইসলাম আসাদ সরাসরি ও অভিনেত্রী আনোয়ারার পক্ষে তার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি পুরস্কার নেন।
যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’। এরমধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে চিত্রনায়ক সিয়াম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও ‘গোর’ থেকে চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী।
পাশাপাশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ গ্রহণ করেন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক - গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা - এম ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী -অপর্ণা ঘোষ (গন্ডি), শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা - মো. সাহিদ হাসান মিশা সওদাগর (বীর),
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী - মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গন্ডি), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- মো. শাহাদৎ হাসান বাঁধন (আড়ং), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক - বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায়রে...), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক - প্রয়াত মো. সহিদুর রহামান (তুই কি আমার হবিরে...), শ্রেষ্ঠ গায়ক - মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...), শ্রেষ্ঠ গায়িকা - দিলশাদ নাহার কণা (তুই কি আমার হবিরে...) এবং সোমনূর মনির কোনাল (ভালোবাসার মানুষ তুমি...),
শ্রেষ্ঠ গীতিকার - কবির বকুল (তুই কি আমার হবিরে...), শ্রেষ্ঠ সুরকার - মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার -গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গন্ডি), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক - মো. শরিফুল ইসলাম (গোর), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- পংকজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (গোর),
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- এনাম তারা বেগম (গোর) ও শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)।
এমএম/