পল্লবী, বিদিশার পর আত্মঘাতী টালিউডের মঞ্জুষা!
প্রকাশিত : ১১:২০, ২৭ মে ২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩, ২৭ মে ২০২২
টলিউডে একর পর এক শোকের ছায়া। প্রথমে পল্লবী, এরপর প্রয়াত হলেন বিদিশা। এবারে বিদিশার বন্ধু মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার পাটুলির বাড়ি থেকে।
শুক্রতার সকাল থেকে কোনও সারাশব্দ পাওয়া যায়নি তার। এরপরেই সন্দেহ দানা বাঁধে পরিবারের সদস্যদের মনে। দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় মঞ্জুষার নিথর দেহ। ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
প্রয়াত মডেল বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বেডরুমে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাটুলি থানার পুলিশ। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেননি মঞ্জুষা। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় বীভৎস দৃশ্য। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ছিলেন মঞ্জুষা। বারবারই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনিও বিদিশার পথে হাঁটতে পারেন! কিন্তু, সত্যিই যে এমন পদক্ষেপ নেবেন তা মানতে পারছেন না তার পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
অভিনেত্রীর মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারও মঞ্জুষা ফটোশ্যুট করতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরেই ওই কাণ্ড ঘটান বলে দাবি তার।
জানা গেছে, মঞ্জুষা বিবাহিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার মঞ্জুষার স্বামী তাকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু, যেতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রী। স্বামী ফের একই কথা বলায় অভিনেত্রী নাকি সুইসাইড করার হুমকি দেন। এমনটাই জানিয়েছেন মঞ্জুষার মা।
তার কথায়, "জামাই বলেছিল বাড়ি ফিরতে। কিন্তু, ও ফিরতে চায়নি। বলেছিল জোর করলে বিদিশার মতো কাণ্ড ঘটাবে! সত্যিই তা হবে ভাবিনি। আমি জামাইকে বলেছিলাম কিছুদিন এখানেই থাকুক।" তিনি আরও বলেন, "খাওয়াদাওয়া একেবারেই করত না। ডায়েট করত। জামাই বলত ঠিক করে খেতে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে।"
কাজে কি বাধা দিতেন মঞ্জুষার স্বামী? এমন প্রশ্নে মায়ের উত্তর, "বাধা দিত না। নিজের প্রতি যত্ন নিতে বলত।" ডুকরে উঠে তার সংযোজন, "জানেন, মেয়েটা চিংড়ি খেতে ভালোবাসত। ওর জন্য গলদা চিংড়ি এনেছিলাম।"
মঞ্জুষার মায়ের দাবি,পল্লবী দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর। তার মৃত্যুর প্রভাব পড়েছিল মেয়ের উপর, এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
সূত্র: এই সময়
এসবি/