ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

জায়েদ-সানীর চড়কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ডিপজল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ১২ জুন ২০২২

সম্প্রতি চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও অভিনেতা ওমর সানীর মধ্যকার চড়কাণ্ড নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয় গণমাধ্যমজুড়ে। নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন যার অনুষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রচার, সেই অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

গত শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে চলচ্চিত্রের লর্ড-খ্যাত ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই ঘটে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা।

তবে পুরো ঘটনাটা নিয়ে অনেকটা নিশ্চুপ ছিলেন আয়োজক ডিপজল। অবশেষে তিনি মুখ খুললেন।

গণমাধ্যমকে ডিপজল বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কেটেছে। বিয়েতে আমার সহকর্মীসহ অনেক অতিথি এসেছেন। পত্রিকায় দেখলাম, কোনো এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আমার কথা ছেপেছে। আসলে বিষয়টি আমি জানিই না। জানার কোনো কারণও নেই। শত শত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় নিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে কোনো ভদ্রলোকও বিশ্বাস করবে না।’

জাঁদরেল এই অভিনেতা বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আরও অনেক গণ্যমান্য অতিথিদের সঙ্গে ওমর সানী ও জায়েদকে আমিই অভ্যর্থনা জানিয়েছি। যদি ধরেও নিই, তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য রয়েছে, তাই বলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কেমন ধরনের আচরণ করতে হয়।’

পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য মন্তব্য করে ডিপজল জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন কেউ কেউ যদি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের কথা ছড়িয়ে থাকে, তাহলে বলবো, তারা ভালো কাজ করেনি। এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কথা বলাও তো অশোভন। আমি মনে করি, যারা এসব কথা ছড়িয়েছে, তারা চলচ্চিত্রের বদনাম করার জন্য করছে। কারণ, আমরা সেলিব্রেটি। আমাদের সামাজিক মানমর্যাদা ও দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আমাদের মধ্যকার যে কোনো ধরনের অশোভনীয় আচরণ চলচ্চিত্রের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে। ফলে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। আমরা সমাজের বাইরে নই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছে, সেটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীতে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ছিল। প্রত্যেককেই এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের পিস্তল বা অন্যকোনো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। কাজেই, জায়েদ বা অন্য যে কেউ হোক না কেন, কারো পক্ষেই অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। যারা জায়েদ ও ওমর সানীর কথিত ঘটনা ছড়িয়েছে, তারা ভালো কাজ করেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের এক ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য এর পেছনে কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি