কেন চার বার বিয়ে করেন কিশোর কুমার?
প্রকাশিত : ১৭:৩৩, ১৩ জুন ২০২২
আজও তার গানে মজে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। কিশোর কুমারের ব্যক্তিগত জীবন কেন এত ভাঙাচোরা? সে প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। বাবার প্রসঙ্গ উঠলেই চুপ থাকতেন ছেলে অমিতকুমার। এই প্রথম মুখ খুললেন বাবার চার বারের দাম্পত্য নিয়ে।
রুমা গুহঠাকুরতা, মধুবালা, যোগিতা বালি। কিশোর কুমারের সঙ্গে তিন জনেরই প্রথমে হাবুডুবু প্রেম ,তার পর বিয়ে এবং পরবর্তীতে বিচ্ছেদ। তবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গায়কের সঙ্গে ছিলেন চতুর্থ স্ত্রী লীনা চন্দ্রভারকর।
বাবার খুব কাছের ছিলেন অমিত। বাবার হাত ধরেই তার বড় হওয়া। চোখের সামনে তার একের পর এক বিয়ে ভাঙতে দেখেছেন, হাত ধরতে দেখেছেন অন্য ভালবাসার। বড় হয়ে কখনও বাবাকে জিজ্ঞেস করেননি কেন এই টানাপড়েন।
মুম্বাই সংবাদমাধ্যমকে অমিত বলেন,‘‘বাবা খুব সংসারী ছিলেন। ভাল ভাবে সংসার করতে চাইতেন, বাবাকে সবাই ভুল বুঝেছে। বাবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও আমার কোনও কৌতূহল ছিল না। কেন বাবাকে চার বার বিয়ে করতে হল আমি কখনও জানতে চাইনি।’’
ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা রুমা গুহঠাকুরতার সঙ্গে কিশোরকুমারের বিয়ে হয় ১৯৫০ সালে। কিশোর-রুমার আট বছরের দাম্পত্যে ছেলে অমিতের জন্ম।
কেন বাবাকে ছেড়ে চলে আসতে হয় অমিতকে, তার উত্তরে গায়কের স্মৃতিতে ফিরেছে দুঃসহ এক রাত। অমিতের কথায়, ‘‘যেদিন বাবা-মায়ের আইনি বিচ্ছেদ হয়, বাবা প্রিয় মরিস মাইনর গাড়িটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন। ওই গাড়ি জুড়ে ছিল মায়ের স্মৃতি। বাবার প্রথম ছবি মুক্তির দিনে মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই গাড়িটা কিনেছিলেন বাবা।’’
কেন ভেঙেছিল কিশোর-রুমার দাম্পত্য? শোনা যায়, কাজ ছেড়ে রুমা ঘর সামলাবেস, এটাই নাকি চেয়েছিলেন কিশোর। রুমা তা মানতে পারেননি। ভাঙা মন নিয়ে কিশোর হাত ধরেছিলেন মধুবালার। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘অভিমান’ ছবিতে নাকি ধরা আছে কিশোর-রুমার দাম্পত্য-জীবনের কথাই। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন অমিতাভ ও জয়া বচ্চন।
একমাত্র লীনার সঙ্গে কিশোরের দাম্পত্য মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অটুট ছিল। কিশোরের জন্য অভিনয় ছেড়েছিলেন লীনা। অমিতকে দিয়েছিলেন মাতৃস্নেহ। মুম্বাই সংবাদমাধ্যমকে সে কথা বলতে গিয়ে অমিত বলেছেন, লীনা অনেক গানও লিখেছেন। তার কথায়, ‘‘উনি দারুণ লেখক। আমার জন্যও গান লিখেছেন। বাবার সঙ্গে বিয়ের পরে আর অভিনয়ও করেননি।’’ শেষ জীবনে বাবার দাম্পত্যের এই ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’-এ খুশি অমিত।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
এসবি/