ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে ১০১ কোটির মানহানি মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ২৯ জুন ২০২২

শাহরুখ খানের কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না রইস সিনেমার বিতর্ক। আব্দুল লতিফের জীবন নিয়ে তৈরি এই ছবি। ছবিতে আব্দুল লতিফকে ঠিক ভাবে চিত্রায়ন করা হয়নি, এই অভিযোগ এনে শাহরুখ খান সহ ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি টাকা দাবি করে মানহানির মামলা করে লতিফের পরিবার।

শাহরুখ খান ও ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে দায়ের ১০১ কোটির মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে গুজরাত হাইকোর্ট।

এই ছবির প্রচারের জন্য যখন আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন শাহরুখ, তখন সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু ঘিরেও বিপাকে পড়তে হয়েছিল শাহরুখ খানকে। কিছুদিন আগেই সেই মামলা থেকে মুক্তি পান অভিনেতা। মানহানি মামলাতেও আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট ও এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট। 

রইসের গল্প ছিল গ্যাংস্টার আবদুল লতিফের জীবন কেন্দ্র করে, এমনটাই দাবি। মানহানি মামলায় নিম্ন আদালত যে রায় দেয়, সেই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন শাহরুখ, প্রযোজক ফারহান আখতার, ছবির পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া। সোমবার বিচারপতি উমেশ ত্রিবেদী আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। 

গ্যাংস্টার লতিফের ছেলে মুস্তাক আহমেদ এই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন, কিন্তু এই মামলা চলার মাঝেই মৃত্যু হয় তার। এখন সেই মামলা লড়ছেন স্ত্রী ও দুই কন্যা। তাদের দাবি যে এই ছবি তাঁদের পরিবারের জন্য খুবই সম্মানহানির। 

শাহরুখের আইনজীবী শালিক থাকোরে দাবি, ক্ষতিপূরণের মামলা কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে দায়ের করা মামলায় মুস্তাক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন এই ছবির চিত্রনাট্য লেখবার সময় লতিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল প্রযোজনা সংস্থা। তাহলে কেন এই মামলা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। 

প্রসঙ্গত আবদুল লতিফের নামে প্রচুর মামলা ছিল। খুন, অপরহণ, অবৈধ মাদক বিক্রয় কিছুই বাদ নেই সেখানে। শোনা যায় দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আব্দুল লতিফ। ১৯৯৫ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল লতিফকে, দু'বছর পর জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার। 

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি