সুস্মিতা-ললিতকে নিয়ে নেটিজেনদের কানাঘুষা, ক্ষুব্ধ ললিত
প্রকাশিত : ১১:৩৩, ১৭ জুলাই ২০২২
সম্প্রতি একটি প্রেমের গল্প বাঁধ ভাঙা আলোচনায় পরিণত হয়েছে। গল্পটি বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা সুস্মিতা সেন (৪৬) ও ব্যবসায়ী ললিত মোদী (৫৬)-কে ঘিরে। আর সেই প্রেমের কথা শুনে কৌতুকে মেতেছেন অনেকে। সেই হাসি, বাঁকা মন্তব্যের ঝড় সামলে এবার গর্জে উঠলেন ললিত।
ললিত মোদী লিখলেন, “আমরা কি এখনও মধ্যযুগে বাস করছি? দু’জন মানুষ বন্ধু হতে পারে না? সময় ভালো কাটলে তাদের মধ্যে জাদু কাজ করতে পারে না? মিডিয়া আমাদের এই ভাবে ট্রোল করছে কেন?”
তিনি আরও লেখেন, “আমার উপদেশ হল, আপনারা নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যদের বাঁচতে দিন। সঠিক খবর লিখুন, গল্প নয়। তথ্য যদি সঠিক ভাবে না জানেন, আমায় বলুন, আমি বলে দিচ্ছি। মিনাল মোদী আর আমি ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে সেরা বন্ধুত্বে ছিলাম। তিনি আমার মায়ের বন্ধু ছিলেন না। এই কথাটা কেন রটেছে জানি না! তবে এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। আসলে যখন কারও ভাল হয়, বাকিরা সহ্য করতে পারেন না।”
জানা যায়, ললিত আর সুস্মিতা যে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সে কথা ১৪ জুলাই ঘোষণা করেছিলেন তারা। একসঙ্গে ছবি দিয়ে ললিত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়াতে পারে।
তার পর পরই যুগলের মালদ্বীপ সফরের একগুচ্ছ ছবি সামনে আসে। তার মধ্যে কয়েকটি ছবি সুস্মিতাকে ট্যাগ করতে গিয়ে ললিত ভুল করে ফেলেন। অভিনেত্রীর প্যারোডি প্রোফাইলে ট্যাগ হয়ে যায়। সে নিয়ে আবারও হাসাহাসি। যার জবাবও কড়া ভাবেই দিলেন সুস্মিতার প্রেমিক।
তিনি বলেছেন, “না হয় ভুল করেছিলাম। তা নিয়ে এ রকম করতে হবে?”
এদিকে এই প্রেমের কথা সামনে আসার পর থেকে নেটিজেনদের কানাঘুষায় বিব্রত হয়েছেন সুস্মিতা।
তিনি লিখেছেন, “কে বলে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি? আমি সব সময় মাথা উঁচু রেখেছি। আপনারা আমায় পলাতক বলুন, আসামি বলুন, তবে কখন কোন আদালত আমায় দোষী সাব্যস্ত করেছে সেটা বলতে পারবেন? বলুন দেশের আর এক জনও এমন সুন্দর কিছু বানিয়ে মানুষকে উপহার দিয়েছে? কিন্তু আমি পেরেছি।
সবটা একা করেছি। সেই সঙ্গে বলি, হিরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি আমি! আমায় ঘুষ নিতে হয় না। আমি যখন বিসিসিআইতে যোগদান করি তখন ব্যাঙ্কে ৪০ কোটি টাকা ছিল। ২০০৫ সালে আমি আমার জন্মদিন, ২৯ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়েছিলাম। জানেন আমাকে নিষিদ্ধ করার সময় ব্যাঙ্কে কত ছিল? ৪৭,৬৮০ কোটি টাকা। আমি কোথা থেকে শুরু করব কেউ ভেবেছিল?”
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/এমএম