বলিউডের যেসব তারকা জেল খেটেছেন
প্রকাশিত : ১৩:০০, ২৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৩, ২৪ মে ২০১৮
সব সময় যেসব তারকাকে পর্দায় দেখতেই অভ্যস্ত দর্শক, তাদেরকেই জেল খাটতে হয়েছে। সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত ও সোনালী বেন্দ্রের মত অনেক বলিউড সুপারস্টারই জেল খেটেছেন। পর্দার বাইরে সাধারণত তাদের দেখা মেলে কোনো সিনেমার প্রচারণা আর ঝলমলে পুরস্কার বিতরণী আসরে। কিন্তু যারা অপরাধ করেন, তাদের থাকতে হয় কারাগারে। বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগে বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। যাদের নিয়ে তৈরি করা হলো এই প্রতিবেদন-
সালমান খান
২০০৭ সালে কিছুদিন জেল খাটতে হয়েছিল সালমান খানকে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ (১৯৯৯) সিনেমার শুটিংয়ের সময় রাজস্থানে মায়া হরিণ শিকারের দায়ে এই সাজা দেওয়া হয় সালমান খানকে। ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় ফুটপাথের মানুষের ওপর গাড়ি চালিয়ে হত্যার দায়েও আদালত তাকে ৫ বছরের জেল দেন। এমনকি চলতি বছরেও হরিণ শিকারের দায়ে তাকে জেল খাটতে হয়েছে।
সাইফ আলী খান
মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগে সাইফ আলী খানের জেল হয়েছিল। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন কারিনা কাপুর খান ও মালাইকা অরোরা। অল্প সময়ের জন্য হলেও ছোট নবাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন কয়েদি হওয়ার যন্ত্রণা।
জন আব্রাহাম
জন আব্রাহামকেও কারাগারে কাটাতে হয়েছিল কিছু সময়। ২০০৬ সালে বাইক দুর্ঘটনায় দুজন ব্যক্তিকে আহত করার সাজা হিসেবে কারাগারে নেওয়া হয় তাকে।
সাইনী আহুজা
নিজের গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে নায়ক সাইনী আহুজাকে জেলে থাকতে হয়েছে। মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।
অক্ষয় কুমার
বিচিত্র এক কারণে জেল হয়েছিল নায়ক অক্ষয় কুমারের। একবার ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে সবার সামনে স্ত্রী টুইংকেলকে দিয়ে নিজের প্যান্টের বোতাম খোলানোর জন্য তাকে জেলে নেওয়া হয়।
সুনীল শেঠি
একটি টেলিকম কোম্পানির পরিচালক ছিলেন সুনীল শেঠি। ওই সময় ব্যাংকে একটি চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার মামলায় তাকে হাজত বাস করতে হয়।
সঞ্জয় দত্ত
একটি একে-৫৬ রাইফেল অবৈধভাবে রাখার দায়ে সন্ত্রাসবিরোধী টাডা আইনে গ্রেপ্তার হন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। ২০০৬ সালে এ মামলায় তার ৬ বছর সাজা হয়। অবশ্য ৪ বছরের কম সময়ের মধ্যেই মুক্তি পান এই নায়ক।
অঙ্কিত তিওয়ারি
‘আশিকি টু’ সিনেমার ‘সুন রাহা হ্যায় না তু’ গানের শিল্পী অঙ্কিত তিওয়ারিকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক নারী বন্ধুকে ধর্ষণের দায়ে তাকে কারাগারে ঢুকতে হয়েছিল।
ইন্দ্র কুমার
প্রয়াত অভিনেতা ইন্দ্র কুমার ধর্ষণের দায়ে কারাগারে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তার এক বান্ধবী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, সিনেমায় অভিনয় করার লোভ দেখিয়ে ইন্দ্র তাকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে আটকে রাখেন ও ধর্ষণ করেন।
ফারদিন খান
‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’ সিনেমার নায়ক ফারদিন খান। মাদক কেনার সময় হাতেনাতে ধরা পরায় ৫ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
সোনালী বেন্দ্রে
একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে অশালীনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করায় জেল হয়েছিল সোনালী বেন্দ্রের। কিছু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় এই নায়িকার জেল হয়। অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পেয়ে যান তিনি।
এসএ/