ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বলিউডের নিরামিষভোজী নায়িকারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৬, ৬ জুন ২০১৮

বিশ্বজুড়ে নিরামিষ আহারের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এর গুণগান গেয়ে চলেছেন চলচ্চিত্র তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, সেলিব্রেটি শেফ, পুষ্টিবিদসহ সবাই। উদ্ভিজ্জ নির্ভর এ খাদ্যাভ্যাসই ভালো ও প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহের জন্য উপযোগী বলে মনে করছেন তারা।
ভারতে অনেক আগে থেকেই এ নিরামিষের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে এটা বড় ফুড ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। আর এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা চলচ্চিত্র তারকাদের। বলিউডের এই অভিনেত্রীরা খাদ্য তালিকায় এখন নিরামিষকেই পাধান্য দিচ্ছেন।
আনুশকা শর্মা
সম্প্রতি নিরামিষভোজীতে পরিণত হওয়া আনুশকা শর্মা তার জীবনযাত্রার এ পরিবর্তন সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নিরামিষভোজী হওয়া খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। তবে আমি খুব সচেতনভাবেই এটা বেছে নিয়েছি।’

এ ডায়েট শুরু করার পর থেকে আগের মতো আর ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আলিয়া ভাট
প্রাণিদের অধিকার বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন পিইটিএ সবচেয়ে জনপ্রিয় নিরামিষভোজী হিসেবে নির্বাচন করেছে আলিয়া ভাটকে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এ ডায়েট শুরু করেছেন। আর এ পরিবর্তনের পর থেকে নিজেকে ‘হালকা’ মনে হচ্ছে তার।
রিচা চাড্ডা
নতুন এ জীবনযাত্রায় মানুষকে প্রভাবিত করতে পিইটিএ’র সহযোগিতায় প্রচারণা শুরু করেছেন রিচা চাড্ডা। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে নিরামিষ আহার শুরু করেন তিনি।
সোনম কাপুর
প্রাণিদের প্রতি সমবেদনা থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিরামিষভোজীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন সোনম কাপুর। মূলত খাদ্য চাহিদা ও পছন্দের উপর সুষম দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় বিশেষ কোনো ডায়েট অনুসরণ না করে বরং সহজলভ্য খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণের জন্য সবার প্রতি তার পরামর্শ।
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর খাবারে বিশ্বাসী শ্রীলঙ্কান সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে রয়েছেন কয়েক বছর ধরেই। অর্গানিক খাবার পছন্দকারী এ অভিনেত্রী মুম্বাইয়ে একটি রেস্তোরাঁও চালু করেছেন, যেখানে ব্যয়বহুল ও স্বাস্থ্যকর নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
সোনাক্ষী সিনহা
নিরামিষভোজী হওয়ার পর বেশ ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা। এ ডায়েট শুরু করার পর থেকে বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটেছে বলেও মনে করেন তিনি। প্রাণিদের প্রতি ভালোবাসা ও পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতামুক্ত বিশ্ব দেখার ইচ্ছাই তাকে নতুন এ জীবনযাত্রায় প্রভাবিত করেছে।
কঙ্গনা রানাওয়াত
২০১৩ সালে এসে ডায়েট থেকে মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেন কঙ্গনা রানাওয়াত। দুগ্ধজাত খাবারের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা হচ্ছিল বলেও সেসময় বুঝতে পারেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, বিভিন্ন রকমের নিরামিষ খাবারের সমারোহ এবং তা নারিকেল দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ায় দক্ষিণ ভারতীয় রান্না শিখেছেন তিনি।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি