চট্টগ্রামে ফ্যাশন শো দিয়ে যাত্রা করলো সেইলর
প্রকাশিত : ২৩:৪৪, ২২ অক্টোবর ২০১৮
পাহাড় নদীর অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রাম। এখানকার রয়েছে ইতিহাস সমৃদ্ধ, গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অন্তরঙ্গ-বহিরঙ্গ দু’ভাবেই এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রকাশ উচ্চ, প্রকট, জোরদার, আন্তরিক ও অহংময়তা। যাপিত জীবনের নানা অনুষঙ্গে তার প্রবলতর উপস্থিতি খুব সহজেই অন্য অঞ্চলের মানুষের চোখে পড়ে। এখানকার মানুষের ভাষা, ব্যবহার্য সামগ্রী, ধরণ-ধারণের বিভিন্ন রূপ অন্যদের থেকে আলাদা মর্যাদার আসন দিয়েছে চট্টগ্রামকে। সৌন্দর্য- সৌকর্যেও ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামে তাই এবার নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে গত ২০ অক্টোবর থেকে যাত্রা শুরু করলো ইপিলিয়ন গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড সেইলর।
স্থানীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার যুগপৎ মেলবন্ধনেই এগিয়ে যেতে চায় সেইলর। ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘সেইলর’ গতানুগতিক ফ্যাশন ভাবনার বাইরে এথনিক, ক্যাজুয়াল বা ফরমাল এবং পাশ্চাত্য কাটের ফিউশন পোশাকে তুলে ধরতে চায়।
এ বিষয়ে সেইলর এর চিফ অপারেটিং অফিসার রেজাউল কবির জানান, ‘সমকালীন ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করেই সেইলর প্যাটার্ন ও ডিজাইনে ‘পরিবর্তন’ তুলে ধরবে পোশাকের ক্যানভাসে। চট্টগ্রামের বনেদী ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং নানা গৌরবময় ইতিহাসের ধারক হয়ে সেইলরও এগিয়ে আসতে চায় পোশাকের নতুনত্ব নিয়ে। নতুনত্ব সঙ্গে তারুণ্য নিয়ে ব্র্যান্ড হিসেবে সেইলর-ও হতে চায় এখানকার মানুষের ব্র্যান্ড।’
পূর্ব নাসিরাবাদের বায়েজিত বোস্তামী রোডে সেইলর এর নতুন স্টোরটি প্রায় ৭ হাজার বর্গফুটে সুসজ্জিত। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী এবং নান্দনিক অন্দরসজ্জায় সাজানো হয়েছে সেইলর এর ১২তম এই আউটলেট। ক্রেতা আগ্রহ বাড়াতে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সেইলরের নতুন এই স্টোরটিতে থাকছে ক্র্যাচ এন্ড উইন অফার। এতে গ্রাহক প্রতিটি শপিং এ কেনাকাটায় পাবেন একটি করে ক্র্যাচ কার্ড। যাতে নূন্যতম ২০ থেকে শতভাগ মূলছাড় সুবিধা ছাড়াও থাকবে ঢাকা ব্যাংকক ঢাকা বিমানের টিকেট, পাঁচতারকা হোটেলে থাকাসহ বিবিধ উপহার। দর্শকনন্দিত উপস্থাপিকা মারিয়া নূরের সঞ্চালনায় বর্ণাঢ্য ফ্যাশন শো দিয়ে উদ্বোধন করা হয় চট্টগ্রামে সেইলরের প্রথম এই স্টোরটি।
দেশসেরা র্যাম্প মডেলদের ৪টি পৃথক কিউতে তুলে ধরা হয় পোশাকের নতুনত্ব। এতে এথনিক, ফরমাল ও ক্যাজুয়াল এবং আসন্ন শীতের পোশাক সংগ্রহ প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকে শিশুদের বর্ণিল পোশাক নিয়েও একটি আলাদা ফ্যাশন কিউ। পাঞ্জাবি, টিউনিক, সালোয়ার-কামিজ বা টপস, শার্ট- প্যান্ট বা পলো সবই প্রদর্শিত হয় কিউগুলোতে। সালোয়ার-কামিজের গলা ও হাতার বৈচিত্র্য, লেয়ারিং, দৈর্ঘ্য এবং পোশাকের ক্যানভাসে নানা নিরীক্ষাধর্মী কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়। পাশ্চাত্য ঘরণার টপস এবং পোশাকের কাট নিয়েও থাকে কিছু পোশাকের ফ্যাশন কিউ।
তরুণদের পাঞ্জাবি-কোটিতে দেখানো হয় ফিটিংস বৈচিত্র্যতা। আসন্ন শীতের পোশাক কেমন হবে, পার্টি টু ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল স্ট্রিট ফ্যাশনের একটা রূপরেখাও তুলে ধরা হয় পাশ্চাত্য ঘরনার পোশাকের মাধ্যমে।
গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় আয়োজিত এই শো’র কিউতে অংশ নেন ৩০ জন র্যাম্প মডেল। পুরো ফ্যাশন শোটির কোরিওগ্রাফি করেন মাহামুদুল হাসান মুকুল। ফ্যাশন কিউয়ের আগে আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদ্বোধনী যাত্রায় সবিশেষ উপস্থিতি দিয়ে শুভকামনা জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ইপিলিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আল মামুনসহ সেইলর ও ইপিলিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য, শো এর পুরো আয়োজনটি দেখা যাবে সেইলর এর ফেসবুক ফ্যান পেইজেও।
কেআই/ এসএইচ/