ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘মধু হই হই’ গানের প্রকৃত শিল্পী রশীদ মাস্টার

প্রকাশিত : ১০:৪৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘এটা আমার প্রেমের একটা ইতিহাস। আমিতো প্রেম করছি, কিন্তু তাকে বিয়া-শাদি করতে পারি নাই। ওরে পাই নাই। ও আমারে যেরকম বলছিল, ওই রকম করে নাই। ওই উপলক্ষে আমি আমি গানটা গাইছি।’
এ কথাগুলো আলোচিত ও জনপ্রিয় সঙ্গীত ‘মধু হই হই’র প্রকৃত শিল্পী আবদুর রশীদ মাস্টার। গানটির জন্মকথন বলতে গিয়ে এ দীর্ঘশ্বাস রশীদের কণ্ঠে।
যদিও নানা শিল্পীর কণ্ঠে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই’ শোনা গেছে এবং যাচ্ছে। তবে এর প্রকৃত শিল্পী আবদুর রশীদ মাস্টার। এবারই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে আসলেন। সেই সঙ্গে জানালেন তুমুল জনপ্রিয় এ গানটির পেছনের গল্প এবং তার ক্ষোভের কথা।
প্রেমিকা ‘মীনারা’কে হারিয়ে এক সাধারণ মানুষের ভেতর জেগে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রের তীরে বসে তিনি সৃষ্টি করেন একের পর এক গান; হৃদয়ের কষ্ট গাঁথেন সুরে ও কথায়।
কিন্তু বাদ্যের তালে তালে তা সবার সামনে গাইতে পারেননি তখনই। জাহাজে করে আসা এক বিদেশি পর্যটক তার গান শুনে উপহার হিসেবে হাতে তুলে দেন ম্যান্ডোলিন।
সে ম্যান্ডোলিন শিখে ২০০৪ সাল থেকে প্রকাশ্যে গান গাইতে শুরু করেন আব্দুর রশীদ মাস্টার। টুকটাক মার্শাল আর্ট জানায় লোকমুখে নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘মাস্টার’। বর্ষাকালে মাছ ধরতে সমুদ্রে যান তিনি আর শীতকালে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে আসা পর্যটকদের গান শোনান।
প্রেমিকা মীনারার বিচ্ছেদে লেখা ‘মধু হই হই’ গানটির তার মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আলমগীর অপু জানান, গানের মূল কথা পরিবর্তন করেই গাওয়া হয়েছে গানটি। এতে ক্ষোভ আছে রশীদের।
তিনি বলেন, ‘পুরা গানটা কেউ গাইতে ফারে না। মূল গানটা কেউ বলে না। গানে একটা কথা আছে ‘কোন দুষহান ফাই ভালোবাসার মূল ন’দিলা’-এখানে সবাই বলে ‘কোন কারণে দাম ন’ দিলা’। গানের শেষে আমার নাম আছে সেটাও ব্যবহার করা হয় না।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অনলাইন টেলিভিশন সিপ্লাসটিভির এডিটর ইন চিফ আলমগীর অপুর বক্তেব্যে জানা গেছে আব্দুর রশীদ মাস্টারের জীবনের গল্প। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তার উদ্যোগেই সিপ্লাস টিভি লাইভে আসেন এ শিল্পী। এরপর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি