ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী মায়া ঘোষ

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ১৯ মে ২০১৯

দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মঞ্চ নাটক, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মায়া ঘোষ (৭০)।

রোববার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পুত্র দীপক ঘোষ।

তিনি বলেন, দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন মা। অবশেষে তিনি যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যশোরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মঞ্চ, নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মায়া ঘোষ। তার দুই পুত্র দীপক ঘোষ ও প্রদ্যুত ঘোষ জানান, ২০০০ সালে মায়া ঘোষের শরীরে প্রথম ক্যানসার ধরে পড়ে। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে চলে চিকিৎসা। ২০০৯ সালের দিকে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর কিডনি, লিভার ও হাঁটুর সমস্যা দেখা দেয়। তারও চিকিৎসা চলছিল।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আবারও ক্যানসার ধরা পড়ে। পুনরায় কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যানসার হসপিটালে নেয়া হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেখান থেকে ফিরে পুনরায় মার্চে যাওয়ার কথা বলা হয়। ১৩ মার্চ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ২২ মার্চ কলকাতায় নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি।

মায়া ঘোষও দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। একপর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিল তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মায়া ঘোষ।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের মণিরামপুর উপজেলার প্রতাপকাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মায়া ঘোষ। তার বাবার নাম শংকর প্রসাদ গাঙ্গুলি। পরবর্তীতে একই উপজেলার মাছনা-খানপুর গ্রামের দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৮৪ সালে তারা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এর আগে ১৯৮১ সালে ‘পাতাল বিজয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন মায়া ঘোষ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটিএন বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ডিবি’-তে অভিনয় করেছেন।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি