হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিত শিল্পী সংঘের নির্বাচন
প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২০ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৮:২১, ২০ জুন ২০১৯
শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার শেখ মো. এহসানুর রহমান, আব্দুল্লাহ রানা ও নূর মুহাম্মদ রাজ্যের করা রিটের প্রেক্ষিতে আজ সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মাদ শফি নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
পাশাপাশি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা খাইরুল আলম সবুজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না উল্লেখ করে শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু বলেন, আমরা দীর্ঘ একমাস ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে নির্বাচন স্থগিত নিয়ে আদালতের নির্দেশনা বিষয়ে কোনো ধরনের কাগজ এখনো হাতে পাইনি। সবাই নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। কেন স্থগিত করা হলো কাগজ পেলে বলতে পারবো।
রিটকারী শেখ এহসানুর রহমান বলেন, এ নির্বাচন ‘সমাজসেবা অধিদফতরের অনুমোদিত সংঘের যে গঠনতন্ত্র- তা ভায়োলেশন করে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা অধিদফতরের একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। চার মাস যাবত বিগত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সর্বশেষ আন্তঃবৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। এর ফলে আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো। এবং জানতে চাওয়া হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না
গঠনতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তফসিলে বলেছে ১৫-এর ৬ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উল্লেখ আছে যে, একটি সাধারণ সভার মধ্যমে অন্তবর্তীকালীন ও নির্বাচনকালীন কমিটি গঠন হবে। অথচ সাধারণ সভা ছাড়াই আগের কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কমিটি গঠন করেছেন।’
এমনকি গোপনে অধিদফতর থেকে কমিটির মেয়াদ ২০২০ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে শিল্পী সংঘের সর্বশেষ তালিকা থেকে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬শ’। ৫২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবার। সেখান থেকে প্রাপ্ত ভোটে নির্বাচিত হবেন ২১ জন।
আগামিকাল সেগুনবাগিচায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
আই/এসি