রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি হলেন তপন মাহমুদ
প্রকাশিত : ০৮:৫২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পঞ্চমবারের মতো আবারও বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি হলেন তপন মাহমুদ। তবে নতুন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পীযূষ বড়ুয়া।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের এই সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ৭১ জন সদস্যের সম্মতিতে দুই বছর মেয়াদের জন্য ২৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।
এই পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি বুলা মাহমুদ, খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম ও আবদুল ওয়াদুদ, যুগ্ম সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর ও তানজিনা তমা, সহ-সম্পাদক মাখন হাওলাদার ও বিষু মণ্ডল, অর্থ সম্পাদক শারমিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিকেত আচার্য ও ফেরদৌসী কাকলি, দপ্তর সম্পাদক তপন কুমার সরকার, প্রচার সম্পাদক ফাহমিদা হোসেন ও সীমা সরকার। নির্বাহী সদস্যরা হলেন- শাহনাজ রুমানা, ডলি চৌধুরী, খোকন চন্দ্র দাস, কাজল মুখার্জি, আবদুর রশীদ, রিফাত জামাল, দীপাঞ্জন মুখার্জি ও জয়ন্ত আচার্য।
উল্লেখ্য, তপন মাহমুদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান পরিবেশনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন।
১৯৫১ সালের ১২ নভেম্বর তিনি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শংকর ভট্টাচার্য্য এবং মাতা লীলা রাণী ভট্টাচার্য্য। ১৯৫৮ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে বরিশালের ব্রজমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর বরিশালের প্রয়াত নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকার প্রয়াত ফজলে নিজামী ও মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতার প্রয়াত অরবিন্দ বিশ্বাসের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জুলাই মাসের মাঝামাঝি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া সে সময় তিনি ‘রণাঙ্গন ঘুরে এলাম’ নামক কথিকা রচনা করেন। যা নিজেই রেডিওতে পাঠ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগের বছর তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় বৈতালিক শিল্পী গোষ্ঠী। তপন মাহমুদ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বৈতালিক শিল্পী গোষ্ঠী ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিয়মিত দর্শণীর বিনিময়ে গীতি-নৃত্য-নাট্যের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা, চিত্রাঙ্গদা, শাপমোচন, মায়ার খেলা, চন্ডালিকাতে কণ্ঠ দেন। তাছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামের ‘মুসাফির’ নৃত্যনাট্যের সঙ্গীত পরিচালনা করেন পুরুষ চরিত্রে কণ্ঠ দেন।
এসএ/