ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আমেরিকায় স্থায়ী হচ্ছেন শাকিব খান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৪, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৭:৩৫, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

শাকিব খান

শাকিব খান

দেশ ছেড়ে বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন শোবিজের একঝাঁক শিল্পী। তাদের কেউ কেউ শীতের পাখি হয়ে দেশে ফেরেন, কিছুদিন বেড়ান-ঘুরেন সুযোগ হলে কাজও করেন। এ তালিকায় আছেন অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পীসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের মানুষ।

নাম নেয়া যায় টনি ডায়েস, প্রিয়া ডায়েস, রিচি সোলায়মান, সোনিয়া, মোনালিসা, দিলরুবা রুহি, তমালিকা কর্মকার, শ্রাবন্তী, শামীম শাহেদ প্রমুখদের।

এবার সে তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। কয়েক দিন ধরেই এ গুঞ্জন উড়ে বেড়াচ্ছে এফডিসি পাড়ায়। বেশকিছু সূত্র জানিয়েছে, অভিনয়শিল্পী হিসেবে ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এই নায়ক। তার সেই আবেদন গত ডিসেম্বরে গৃহীতও হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, একটি দক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে শাকিব খান আবেদনটি করেন। যেখানে তার সবকিছু দেখাশোনা করছেন আমেরিকাপ্রবাসী নেপালি এক আইনজীবী। শাকিবের আবেদন সবুজ সংকেত পাওয়ায় এই আইনজীবী প্রত্যাশা করছেন শীঘ্রই তার মক্কেলের হাতে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পৌঁছে দিতে পারবেন।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আমেরিকার ভিসা চেয়েছিলেন শাকিব খান। কিন্তু বারবার ভিসার সেই আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। অবশেষে তিনি দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায় -এ মর্মে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেন।

এদিকে, আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার কথা ভাবছেন শাকিব! এ খবর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বেশ ধাক্কা দিয়েছে। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন জনপ্রিয় এ নায়ক? তবে কী তিনি নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভুগছেন?

দীর্ঘদিন ধরে একক রাজত্ব কায়েম করে ঢালিউড মাতিয়েছেন শাকিব। বছরে তার ছবিই কিছুটা ব্যবসা করতে পারছে এ মন্দার বাজারে। তবে বছর বছর কমছে হল, বাড়ছে সিনেমা নিয়ে অস্থিরতা। সেসব বিষয় হয়তো হতাশ করছে শাকিবকে। বয়সও বাড়ছে, শারীরিকভাবেও প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। ক্যারিয়ারেরও ভাটার সময় শুরু হয়েছে। একটা সময় তো থামতে হবেই। 

তাই হয়তো সব দিক বিবেচনা করেই নিজের জনপ্রিয় ইমেজটা ধরে রেখে পর্দার আড়ালে চলে যেতে চান শাকিব। স্থায়ী হতে চাইছেন বিদেশে।

খবর হচ্ছে- শাকিব খান ছাড়াও মিশা সওদাগর, পূর্ণিমা, অমিত হাসান, আনিসুর রহমান মিলনসহ আরও অনেক তারকাই আমেরিকায় ইবি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।

প্রসঙ্গত, একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করতে চাইতেন, তাদের মাথায় প্রথমই আসত রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা। গ্রিন কার্ড পেতে এ পদ্ধতিকেই তারা প্রধান উপায় বলে মনে করতেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমেরিকা সহজ একটি সুযোগ দিয়েছে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনের জন্য।
 
সেই সুযোগটির নাম ইবি ক্যাটাগরির ভিসা। এর মাধ্যমে যারা মেধাবী এবং দক্ষ পেশাজীবী, তারাই আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর গুণাবলি ও দক্ষতা কাজে লাগালে আমেরিকা উপকৃত হবে বলে মনে হলে তাকে গ্রিন কার্ড দেয়া হবে।

শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ীসহ নানা ধরনের পেশাজীবীর মধ্যে যাদের নিজস্ব গবেষণাপত্র আছে কিংবা বিশেষ সম্মানসূচক পদক বা সম্মাননাপত্র পেয়েছেন তারা এই সুযোগ নিতে পারেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অনেকেই এ কোটার ভিসা নিয়ে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি