কক্সবাজারে সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০ উদ্বোধন
প্রকাশিত : ২২:২৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২০
‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সারাদেশে বিস্তৃত পরিসরে কাযর্ক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন শহর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রথম বারেরমতো ‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’-এর আয়োজন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৪ জানুয়ারি ২০২০ বিকাল সাড়ে ৪টায় কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে সৈকতের সুগন্ধা এলাকা থেকে লাবনী পয়েন্টে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত বর্নিল শেভাযাত্রা অনুষ্টিত হয়।
কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতের অবস্থিত জেলা প্রশাসকের উন্মুক্ত মঞ্চে উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আদিবুল ইসলাম। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মুজিবুর রহমান। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুদিপ্তা চক্রবর্তী।
প্রতিবছর এধরনের উৎসব আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে উদ্বোধক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, প্রতি জেলা উপজেলায় বিস্তৃতি পরিষরে কর্ক্রমের অংশ হিসেবে এই আয়োজন। এছাড়া পযটন এলাকায় নিয়মিত এই ধরনের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্টকদেরকে সময়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
২৪ ও ২৫ জানুয়ারি ২০২০ দুই দিনব্যাপী দুইদিনের এই উৎসবে সংগীত, নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং পারফর্মেন্স আর্টসহ বৈচিত্রপূর্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দারবান ও বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৩ ফুট দীর্ঘ প্রতিকৃতি কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতে ৭দিনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিলো বান্দরবানের ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সমবেত নৃত্য পানি তোল ও বোতল নৃত্য, বম সম্প্রদায়ের স্বাগত নৃত্য ও বাঁশ নৃত্য, মারমা সম্প্রদায়ের ময়ূর নৃত্য ও ছাতা নৃত্য; ম্রো সম্প্রদায়ের নববর্ষের নৃত্য ও যুগল নৃত্য, চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু নৃত্য ও জুম নৃত্য, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের। একক সংগীত পরিবেশন করেন কক্সবাজারের শিল্পী মানষী বড়ুয়া; শিল্পী মিনা মল্লিক; শিল্পী মেহরীন রাহাব্বাত ইফশিতা ও মো. জহিদ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিল্পীবৃন্দ। সমবেদ নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাউল দল এবং অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে সুজন মাহবুবের কৃৎকলা ‘সমুদ্রের গর্জন’ পরিবেশিত হয়।
আরকে//