‘মূ’ ড্রামা সিরিজের ৪র্থ পর্বে যা থাকছে
প্রকাশিত : ১২:৫৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৩:৪৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বাংলায় ডাবিংকৃত চীনা মেগা ড্রামা সিরিজ ‘মূ’। ১০০ পর্বের এই সিরিজে চীনা মিং সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ষড়যন্ত্র, ঘৃণা ও ভালোবাসার ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ড্রামা সিরিজটি একুশে টেলিভিশন প্রচার শুরু করেছে।
চীনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তৈরি করা ড্রামা সিরিজটি পরিচালনা করেছেন রিংগো ইয়ু। ওয়াং জুয়ানের চিত্রনাট্যের এই সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১২ সালে সিরিজিটি প্রথম চীনের সরকারি টেলিভিশন (সিসিটিভি)’তে ‘টার্বুলেন্স অব দ্যা মু ক্লেন’ নামে প্রচারিত হয়।
৪র্থ পর্বে যা আছে :
ছোট রাজকুমারের মায়ের অনুরোধে চাচী এসে রাণির কাছে আর্জি করেন যে যেহেতু রাণিকে হত্যা করা হয়েছে তবে কেনো ছোট রাজকুমারকে শাস্তি পেতে হবে। তাকে যেনো মুক্ত করে দেওয়া হয়।
রণি তাকে একান্তে বলেন- ‘আমার সিদ্ধান্ত মূ খুংকে মুক্ত করা যাবে না। আমি ভালো করে জানি এটা মূ লং এর চালাকি। তুমি আমার ভাতিজি। সেই সঙ্গে আমার ছেলের বউও। মাঝে মাঝে তোমার জন্য তোমার এই ফুফুর চিন্তা হয়। তুমি কি ওদের দু’ভাইয়ের দ্বন্দ্বের কথা জানো না?’
রাণি তাকে জানান, মূ লং এসব করছে তার বড় ভাইয়ের মুখে কালিমা লেপে দেওয়ার জন্য।
রাণির চিন্তা দুই রাজকুমার কে নিয়ে। বড় রাজকুমার মূ চুং এই সম্রাজ্যের পরবর্তি উত্তরাধিকারী। কিন্তু দিনে দিনে ছোট রাজকুমার মূ খুং আলোচিত হয়ে উঠছে।
এদিকে আলিসিও নিজে শত্রুদের হাতে ধরা দিয়ে বড় রাজকুমার মূ চুংকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
রণির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ছোট যুবরাজ মূ চুংকে উদ্ধারে যেতে চান। কিন্তু রাণি তাকে বাধা দেন। রণি তাকে সতর্ক করেন কোন চক্রান্ত না করার।
অপরদিকে, রাণি একটি গোপন কথা জানান জল্লাদকে। আলিসিওকে উদ্ধার করে যেনে আর এই প্রাসাদে না আনা হয়। সে যদি বেঁচে থাকে তবে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন রাণি।
আলিসিওকে যারা ধরে নিয়ে যায় তারা আর কেউ নন, তারই সেই মামা শি হু। যিনি যুবরাজ মূ চুংকে হত্যা করতে চান। মামা শি হু আলিসিওকে তাদের শপথ ও পরিবারের করুণ পরিনতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
আলিসিও কোন কিছুই ভোলেন নি। দশ বছর আগে এই মূ পরিবার আলিসিওর পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তার বাবা মাকে হত্যা করে।
মামা শি হু স্মরণ করিয়েদেন আলিসিওকে। সে যেনো তার লক্ষ থেকে সরে না যায়।
এদিকে ছোট মায়ের মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে ছুটে চলে আসেন ছোট রাজকুমার মূ খুং। ছোট মা বলে ডাক দেন তিনি। ছোট মা তার কাছে বাঁচার আকুতি করেন। কিন্তু এক প্রহরের ঢোল বাজলেই তরবারী চলবে। সব কিছু ঠিকঠাক। রাণির আদেশ জল্লাদ অমান্য করতে পারবেন না। ছোট রাজকুমার অনুরোধ করেন কিছু সময় পর আদেশ মত কাজ করার, সেই সময়ের মধ্যে সে রাণির কাছে ছোট মায়ের জন্য অনুরোধ করে আসবে। কিন্তু জল্লাদ বলেন, ‘আমার কাছে রাণি মা’র আদেশ সামরিক আদেশ। সময় মতই তরবারী চলবে।’
কিন্তু জল্লাদের কথা মেনে নিতে না পেরে ছোট রাজকুমার তাকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে। ঢোল বেজে উঠে। জল্লাদ ও ছোট রাজকুমার তরবারী হাতে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় পেছন থেকে ছোট যুবরাজ মূ লং ধনুক দিয়ে নিজেই হত্যা করেন স্ত্রী নুওলানকে। সেই সঙ্গে রাজকুমার মূ খুংকে আটক করতে বলেন।
কিন্তু রাণিকে এসে যখন জল্লাদ সব ঘটনা বললেন- তিনি অনেকটা অবাকই হলেন। যেখানে নাতি রাজকুমার মূ খুং তার ছোট মাকে বাঁচাতে চাইলো, আর যুবরাজ নিজের স্ত্রীকে নিজেই হত্যা করলো!
জল্লাদ আরও জানান, ছোট রাজকুমার রাজ পরিবারের নির্দেশ ভেঙেছে। তাই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিন দিন তাকে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হবে।
রাণি এটা শুনে আরও চমকে গেলেন।
এদিকে ছোট রাজকুমারকে এই শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে বড় যুবরাজ। তার কাছে যায় রাজকুমারের মা।
অপরদিকে, দিপালী থেকে পালিয়ে আসা বড় রাজকুমারকে হত্যা করতে খুঁজতে থাকে শত্রু পক্ষ। প্রাসাদে ফিরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করতে বলা হয়।
বাংলায় ডাবিং করা এমনই থ্রিলারধর্মী চীনা ড্রামা সিরিজটি দেখতে চোখ রাখুন একুশে টিভির পর্দায়। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টায় প্রচারিত হয় এই সিরিয়ালটি। পরের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুন:প্রচার হয় আগের দিনের পর্ব।
উল্লেখ্য, মিং সাম্রাজ্য ১৩৬৮ সাল থেকে ১৬৪৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর চীন শাসন করে।
দেশের জনপ্রিয় এই টেলিভিশন স্টেশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। এছাড়াও ‘খোলা জানালা’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ মতামতসহ দেখতে পাবেন নানা বিশ্লেষণ।
এ ছাড়াও একুশে টেলিভিশনে রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান- সেরা নারীর সেরা রান্না, মজার টিফিন চাই; কমেডি শো- মামাভাগ্নের বৈঠকখানা; লাইফ স্টাইল বিষয়ক অনুষ্ঠান- বিয়ের রাজকন্যা, রুপ লাবণ্য, প্রবাস জীবন; গানের অনুষ্ঠান- ফোক মোমেন্টেস, মিউজিক এক্সপ্রেস, গানের ওপারে; স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান- হেলদি লাইফ, দ্য ডক্টরস ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে।
এসএ/