অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে অনিক: শাবনূর
প্রকাশিত : ১৩:১২, ৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৩:১৪, ৪ মার্চ ২০২০
স্বামী অনিক মাহমুদ অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে বলে অভিযোগ করেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর।
দেশের অন্যতম একটি প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইনে এ রকম খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওই খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে শাবনূর জানান-‘বেশ কয়েক বছর ধরে অনিকের সঙ্গে আমার কেবল নামমাত্র সংসার চলছে। আমাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা। তাই এ সিদ্ধান্ত।’
স্ত্রী ও সন্তানের কোন দায়িত্ব নেয়নি অনিক বিষয়টি উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, সে আমার আর সন্তানের কোন দায়িত্বই নেয়নি। কোন খোঁজও নেয় না। তাহলে তার সঙ্গে কিসের সংসার করবো?
শাবনূর মনে করেন, ‘এমন সংসার থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। যে বাবা ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে। তার সঙ্গে থাকা সম্ভব না।’
তালাকের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর অনিক পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ছিল না। আমি বার বার বলার পরও তার আচরণের পরিবর্তন আসেনি। নোটিশের ওই কথার মূল তো এটাই।’
তালাকের কারণ হিসেবে তালাকনামায় অনিকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছেন শাবনূর।
নিজের সই করা তালকানামাটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই আইনজীবী বলেন, শাবনূরের স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত-বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরেন। শাবনূরকে নানারকম নির্যাতন করেন।
‘স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বও পালন করেন না। বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন এ নায়িকা।’
কাওসার আহমেদ জানান, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। তালাকের নোটিশ অনিকের উত্তরা ও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে শাবনূর বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করেছেন, আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতি যথাযথ যত্নশীল না এবং আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।
আরও উল্লেখ করেন, একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন, অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। যে কারণে মনে হলো, তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারবো না।
তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।
বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পারি জমিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী । কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সংসার জীবনটা আর সুখী হলো না।
নব্বই দশকের শুরুতে পরিচালক ইহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনূর। এরপর সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন। গত ২৬ বছর ধরেই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন শাবনূর।
২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।