বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রাজশাহী কলেজের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বুনন’
প্রকাশিত : ১২:২১, ৭ মার্চ ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে রাজশাহী কলেজ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষেই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর দিনই প্রকাশ পাবে চলচ্চিত্রটি। কলেজের অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হবে এটি।
‘বুনন’ নামের এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার আরুক মুন্সী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার চেহারায় বেশ মিল রয়েছে।
তিনি পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে চুল, গোঁফ রাখেন বঙ্গবন্ধুর মতো। তার সঙ্গে জাতীয় চার নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরও চারজন। জাতীয় চার নেতার সঙ্গে এই চার অভিনেতারও মিল রয়েছে। মুজিববর্ষে এই চলচ্চিত্রের আকর্ষণই এটা।
নাট্যজন মাহমুদ হোসেন মাসুদের গল্পে এটি রচনা করেছেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান। চলচ্চিত্রটি নির্বাক, শুধু দৃশ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ থেকে গল্পের শুরু হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্রে। এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে কাজ চলছে সেটিও দেখা যাবে ১৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রে।
এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্য অভিনেতা মাইনুল ইসলাম টিপু। চিত্রগ্রহণ করেছেন শাহরিয়ার চয়ন। সম্প্রতি রাজশাহীর পদ্মা নদী, রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে এর দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান বলেন, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক, অর্থাৎ ৭ মার্চ থেকে গল্প শুরু হয়েছে। তার ভাষণের পরে মুক্তিযুদ্ধ, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠনের কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর মানুষের মধ্যে যে শঙ্কার উদয় হয় যে দেশটি এগোবে কিভাবে; সেসব ঘটনাগুলোই চলচ্চিত্রে দেখানো হবে।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, দেশ কিভাবে এগোবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী ও তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল যেভাবে ধরেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেগুলোও স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। নির্বাক হলেও চলচ্চিত্রে একটি গান রয়েছে। এটি রচনা করেছেন মাহমুদ হোসেন মাসুদ।
এসএ/