ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

আজও অজানা যেসব সত্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২০, ৩ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪২, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

অতীতের এমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে যা ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেয়। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের খোরাক যোগায়। কিন্তু কোনো কোনো ইতিহাস বিকৃতি হয়, কিছু অংশ ঢাকাও পড়ে। তবে ভবিষ্যতে কোনো না কোনোভাবে সেই সত্যের কিছুটা সামনেও আসে। এ ঘটনা মানুষকে অবাক করে দেয়।

ঢাকা পড়ে যাওয়া এমনই কিছু ইতিহাসের অজানা দিক জেনেনিন-

সবচেয়ে বড় ও জীবন্ত ছত্রাক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জীবন্ত ছত্রাক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের ম্যালহর ন্যাশনাল ফরেস্টে। বড় বড় উদ্ভিদের জন্য বিখ্যাত এই উদ্যানটি।

চিকিৎসায় হিরোইন

ভয়ঙ্কর মাদক নেশা হিসেবে হিরোইন’ পরিচিত থাকলেও একসময় এটি রুগীদের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হত। বিশেষ করে কাশি এবং মাথা ব্যথার জন্য চিকিৎসকরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হেরোইন ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন

বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন। কিন্তু স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করার পর ইসরায়েল যখন রাষ্ট্র গঠন করে ঠিক তার কিছু পরই ইহলোকে বর্তমান এই বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী। ইহুদি রাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট উইজমানের মৃত্যুর পর নেতা কে হবেন এমন প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে তখন অনেকেই আলবার্ট আইনস্টাইনকে ওই পদে বহাল করার পক্ষে মত দেন।

সেই মোতাবেক ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন প্রস্তাব হিসেবে আইনস্টাইনকে একটি চিঠি লেখে পাঠান। চিঠিতে অনুরোধ করেন ইহুদি রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য। কিন্তু ইহুদি পরিবারে বেড়ে ওঠা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। বিশ্বের চোখে মহান এই বিজ্ঞানী বিতর্কিতেএকটি রাষ্ট্রের সাথে নিজেকে জড়াতে চাননি। ডেভিড বেনের চিঠির উত্তরে নিজেকে অযোগ্য প্রার্থী উল্লেখ করে ইঙ্গিতেই বিষয়টি বুঝিয়ে দেন তিনি।

দাঁত থাকতে যারা তার মর্যাদা দেন না

যারা দাঁত থাকতে তার মর্যাদা দেন না তাদের জানা দরকার এই চিকিৎসা যখন শুরু হয় তখন কিন্তু এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। আসল দাঁতের বদলে কৃত্রিম দাঁত লাগানো তখনও আবিষ্কার হয়নি। সেই অভাব পূরণ করতে তাই ব্যবহার করা হতো আসল দাঁত। এখন মানুষ যেমন চোখ, কিডনি দান কিংবা বিক্রি করেন, ওই সময়ও দাঁত বিক্রি বা দান করার প্রচলন ছিল। তাছাড়া দাঁতের চাহিদা মেটানোর জন্য আরো একটি পথ খোলা ছিল। সেটি হলো মৃত সৈনিক। যুদ্ধক্ষেত্রে পক্ষের বা বিপক্ষের কোনো সেনা মৃত্যুবরণ করলে তাদের দাঁত খুলে রাখা হতো।

 

জোসেফ স্টালিন

এক সময়ের রুশ শাসক জোসেফ স্টালিন ছবির ব্যাপারে অদ্ভুত মনোভাবের পরিচয় দিতেন। তার কার্যালয়ে  তিনি কর্মীদের সাথে ছবি তুলতেন। কিন্তু যখন তাদের মধ্যে কেউ মারা যেতেন কিংবা পদচ্যুত হতেন, তখন সেই ছবি থেকে তাকে মুছে ফেলতে আদেশ দিতেন তিনি। এর ফলে দেখা যেত ছবিতে থাকা তার সঙ্গীরা একে একে মিলিয়ে গেছেন, বাকি রয়েছেন একমাত্র তিনিই। কালের আবর্তনে তিনিও একদিন হারিয়ে গেছেন!

চীনের নারীরা পা সুন্দর রাখতে যা করতেন

অতীতে চীনের নারীরা তাদের পা’কে সুন্দর রাখতে অদ্ভুত কাণ্ড করতেন। ছোটবেলা থেকেই কন্যা শিশুদের ছোট মাপের লোহার জুতো পরিয়ে দিতেন। যার কারণে শারীরিক বৃদ্ধি ঘটলেও তাদের পায়ের পাতা বৃদ্ধি পেত না। এজন্যে নারীদের প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো। কিন্তু সৌন্দর্যের কথা ভেবে সেই বেদনা সহ্য করে নিত চীনের মেয়েরা।

 

আর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি