আত্মহত্যা করতে সুদূর সুইজারল্যান্ড! (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ২৫ নভেম্বর ২০২১
পৃথিবীর বুকে যেনো এক টুকরো স্বর্গ সুইজারল্যান্ড। আর এই স্বর্গেই নাকি সারাবিশ্ব থেকে আত্মহত্যা করতে আসে মানুষ। কিন্তু কেন? আর আত্মহত্যার অধিকারই বা আছে কার?
সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যার বৈধতা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। আর সেখানে মূলত দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছেন এমন মানুষরাই স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অধিকার পান।
তবে আপনি ব্যাধিতে ভোগেন আর নাই ভোগেন বাংলাদেশে কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টাই ফৌজদারি অপরাধ৷ তারপরেও কি থেমে আছে আত্মহত্যা?
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই একই চিত্র। তাহলে যুক্তিযুক্ত কারণে আত্মহত্যার বৈধতা দেওয়ায় বাধা কোথায়? এমন প্রশ্নই তুলেছেন সুইজারল্যান্ডের চিকিৎসক এরিকা প্রেইসিগ।
তিনি মূলত সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যায় সাহায্যকারী সংস্থা ‘লাইফ সার্কেল’র প্রেসিডেন্ট। এবং পেশায় চিকিৎসক।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যাকে বৈধতা দিতেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেইসিগ ও তার সংস্থা। এ বছর নভেম্বরের শুরুতেও সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে মানববন্ধন করেছেন তারা।
প্রেইসিগের মতে, একজন মানুষ কখন কোথায় কীভাবে মরতে চান, সেই ইচ্ছা প্রকাশ এবং তা পূরণের অধিকার তার থাকা উচিত। তবে সম্পূর্ণরুপে তা বাস্তবায়ন না করা গেলেও বিশ্বব্যাপী দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের জন্য আত্মহত্যা বৈধ করা প্রয়োজন।
কারণ সারাবিশ্ব থেকে আত্মহত্যার জন্য সুইজারল্যান্ডে ভিড় করছে মানুষ। এতো মানুষকে মরতে সাহায্য করাও সেই দেশের চিকিৎসকদের জন্য বাড়তি বোঝা!
শুধু তাই নয়, সারাবিশ্বে এটি বৈধ হলে নিজ দেশে, নিজ ঘরে আপন পরিবেশেই মরতে পারবে মানুষ। আর এ জন্য কষ্ট করে টাকা খরচ করে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঝক্কিও পোহাতে হবে না।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, সুইস ইনফো
এসবি