সেলিব্রিটি থেকে বিত্তবান, পর্যটকদের প্রথম পছন্দ মালদ্বীপ, কেন?
প্রকাশিত : ১২:২৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে টপকে হাজারো দ্বীপবেষ্টিত দেশ মালদ্বীপ পর্যটন-শিল্পে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পাঁচ লাখেরও কম জনসংখ্যার এ দেশটিকে ২০২০ সালে ‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট টুরিস্ট ডেসটিনেশন’ ঘোষণা করেছে ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, সমুদ্রসৈকতে নীলাভ জল ও ক্রান্তীয় প্রবাল প্রাচীর দেখতে এই দেশে ছুটে যান। কিন্তু কেন? সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সবাই এখানেই ছুটে যান কেন ছুটি কাটাতে?
দেশটিতে সহস্রাধিক দ্বীপ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপগুলোতে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পর্যটকবান্ধব সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে দেশটির সরকার।
‘ওয়ান আইল্যান্ড ওয়ান কটেজ’ ধারণায় ছোট বড় বিভিন্ন আকারের হোটেল ও কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের হোটেল-রেস্তোরাঁর শাখাও রয়েছে এসব কটেজে।
বিত্তবান পর্যটকরা মালে বিমানবন্দরে নেমেই সি-প্লেনযোগে দ্বীপে ছুটে যেতে পারেন। কেউ কেউ আবার বড় জাহাজ কিংবা স্পিডবোটে করে কটেজে ছুটে যান। পর্যটন-শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়ন দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাই সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
মালদ্বীপের মোট জাতীয় আয়ের ৭০ শতাংশই পর্যটন শিল্প থেকে আসে। জানা গেছে, দেশটিতে পর্যটন ব্যবসার সিংহভাগই বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ না করা। পর্যটন-শিল্পের বিকাশে সরকার নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছে। সেই নীতিমালার আলোকে প্রণীত শর্ত ও নিয়মকানুন বেসরকারি খাতের পর্যটন ব্যবসায়ীরা শতভাগ পূরণ করে থাকেন।
ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হলেও সরকারের কঠোর নজরদারি রয়েছে সেখানে।
সূত্র: টিভি ৯ বাংলা
এসবি