ময়ূর চাষ পথ দেখাচ্ছে হাজারো উদ্যোক্তাকে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৫ মে ২০২২ | আপডেট: ১৫:২১, ৫ মে ২০২২
ময়ূরের খামার গড়ে সফল কুমিল্লার হোমনার যুবক শাহ আলী। সরকারি সহায়তা পেলে সেটি আরও বড় করতে চান এই উদ্যোক্তা। ব্যতিক্রমী খামারটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন মানুষ।
ময়ূর ফ্যাজিয়ানিডি গোত্রের বড়, চমৎকার ও আকর্ষণীয় রঙের কয়েক প্রজাতির পাখি। উপমহাদেশের নীল ময়ূর বা ইন্ডিয়ান পিফওয়েল খুব সহজেই মানুষের সাহচর্যে বাস করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলের বাসিন্দা প্রজাতিটি এখন বিলুপ্তপ্রায়।
হোমনার বাবরকান্দি গ্রামে দেখা মিলবে বিলুপ্তপ্রায় ময়ূরের খামার। ২০১৯ সালে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ময়ূর কিনে আরও এক লাখ টাকা দিয়ে খামারঘরটি গড়েন শাহ আলী।
পরে আরও সাতটি ময়ূর কিনে বাচ্চা উৎপাদন শুরু করেন। মোট খরচ হয় ১০ লাখ টাকা। এখন একশটি ময়ূর রয়েছে তার খামারে, যার মূল্য ৩০ লক্ষাধিক টাকা। এরই মধ্যে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ময়ূর বিক্রি করেছেন তিনি। এই যুবকের জীবনের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছে খামারটি।
এ বিষয়ে সফল উদ্যোক্তা শাহ আলী জানান, একজোড়া ময়ূরের দাম হচ্ছে লাখখানিক টাকা। তারপর ২ শতক জাগার মত লাগে, একটি ঘর লাগে। এককথায় প্রায় ৫ লাখ টাকা মতন ইনভেস্ট করতে হয় এই খামার তৈরি করতে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে এসে ময়ূরসহ খামারের ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এক এলাকাবাসী বলেন, "ফেসবুকের মাধ্যমে ও অনেক নিউজের মাধ্যমে এই ময়ূরের খামারটি দেখেছি।"
একই সময় অন্য একজন দর্শনাথী জানান যে তিনি কুমিল্লা হতে এই খামার দেখতে এসেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে যে কেউ চাইলেই বিলুপ্তপ্রায় ময়ূরের খামার করতে পারবেন। খামারি শাহ আলীকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী বা পাখি এটি, সেক্ষেত্রে আমরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি এই ময়ূর লালন পালন করতে।
ময়ূরের বংশরক্ষায় এ ধরনের খামার গুরত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে, বলছেন সচেতনরা।
আরএমএ