ঢাকা, বুধবার   ০৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ক্লোনিং করে বিলুপ্ত প্রাণী থাইলাসিনকে ফেরানোর চেষ্টা

আজহারুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১১:২৬, ১৮ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

গেল শতকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক প্রাণী থাইলাসিন। ১৯৩০ সালের আগেও পাপুয়া নিউ গিনির বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যেত প্রাণীটিকে। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া থাইলাসিন নামে পরিচিত এই তাসমানিয়ান বাঘকে ফিরিয়ে আনতে বেশ ব্যায়বহুল একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। 

পিঠে বাঘের মতো কালো ডোরাকাটা দাগ। মুখ আর দেহটা দেখতে কুকুরের মতো হলেও ক্যাঙ্গারুর মতো থলি আছে এমন একটি প্রাণী। অদ্ভুত এই প্রাণীর নাম থাইলাসিন যাদের তাসমানিয়ান টাইগার নামেও ডাকা হতো।

বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন প্রাণীটি বেশ লাজুক প্রকৃতির হলেও মাংশাসী। ওজনে প্রায় ২৫ কেজি আর উচ্চতায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার। তৃণভোজী প্রাণী, পাখি এবং অন্য মারসুপিয়াল প্রাণী ছিল এদের প্রধান খাদ্যবস্তু।

১৯৩০ সালের আগেও অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া আর পাপুয়া নিউ গিনির বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে ঘুরে বেড়াতো এই বিশেষ জাতের প্রাণী। তাসমানিয়াতেই কমপক্ষে পাঁচ হাজার থাইলাসিনের বসবাস ছিল।  

মানুষ আর প্রকৃতির নির্মমতায় একের পর এক মারা পড়তে থাকে প্রাণীটি। শিকারে পরিণত হওয়া, বাসস্থান ধ্বংস আর রোগব্যাধির কারণে প্রাণীটি খুব দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে প্রাণীটিকে সরকারিভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।

সম্প্রতি নতুন বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, পাপুয়া নিউ গিনি এবং তাসমানিয়ায় থাইলাসিনদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওয়েট স্পেসিমেন বা তরলে সংরক্ষিত জৈবিক নমুনা। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাটমি ইনস্টিটিউটের সংগ্রহে রয়েছে দুটি থাইলাসিনের চামড়া, কঙ্কাল এবং ত্রিশটিরও বেশি দেহাংশ।

আশার কথা হলো এই, ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে থাইলাসিনকে আবার ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। ক্লোনিং করে থাইলাসিন ফিরিয়ে আনার পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি তর্ক রয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়বহুল এবং জটিল হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এসবি/ 
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি