দেশেই চাষ হবে মরুভূমির উটপাখি
প্রকাশিত : ২১:০৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২১:০৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি অনুষদের অডিটোরিয়াম-২-এর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটপাখি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির খামার। আজ প্রথম বারের মতো ডিম দিয়েছে একটি উটপাখি।
প্রধান গবেষক ও জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল গাফফার মিয়া বলেন, আজ প্রথম বারের মতো ডিম দিয়েছে একটি উট পাখি। ডিমের ওজন প্রায় ১ কেজি ১২০ গ্রাম হয়েছে। আমরা উটপাখি নিয়ে গবেষণায় আশাবাদী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় তাদের বৃদ্ধি ঠিকই আছে, যদিও উট মরুভূমির পাখি।
তিনি আরও বলেন, বানিজ্যিক ভাবে উট পাখির খামার করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের দেশে। একটি উটপাখির বাচ্চার দাম ৩০-৩৫ হাজার টাকা। উট পাখির মাংস বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এদের খাদ্য সহজলভ্য। এরা নেপিয়ারসহ যে কোনো ঘাস, লতা-পাতা পোলট্রি ফিড ও পাথর খেতে পারে। এ কারনে আমি মনে করি গরু পালনের চেয়ে উটপাখি পালন বেশি লাভজনক হবে। কারণ উটপাখি ৫০ থেকে ৭০ বছর উৎপাদনক্ষম থাকে এবং এরা ৮০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। আর এদের গ্রোথ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া গরু-ছাগলের চেয়ে বেশি। ফলে বাণিজ্যিকভাবে উটপাখির খামার আমাদের দেশে লাভজনক হবে। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে উটপাখির খামার গড়ে উঠলে তা গরুর বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে।
হাবিপ্রবিতে দেওয়া উটপাখির ডিম
ভেটেরেনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের লেভেল ৪ এর শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান জানান, অনেক দিন ধরে আমরা উট পাখি গুলো লালন পালন করছি । দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর আজ উট পাখির ডিম দেখে খুবই ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে আমাদের প্রচেষ্টা পরিশ্রম সফল হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুই মাস বয়সের উটপাখি আনা হয়েছে হাবিপ্রবিতে। বিভিন্ন কারণে কিছু উট পাখি মারা গেলেও এখন ছোট (১৫টি) বড় (৪টি) মিলে প্রায় ১৯টি উটপাখি রয়েছে। উট পাখির পূর্ণবয়স্ক হতে প্রায় আড়াই বছর লাগবে এবং সেই সময় থেকে এরা ডিম দেয়। একেকটি ডিম দেড় কেজি ওজনের হয়। বছরে একেকটি উটপাখি ২০ থেকে ১০০টি ডিম পর্যন্ত পাড়ে। এ পাখি সাধারণত দু-চার বছর বয়সে প্রজননক্ষম হয়। গ্রোথ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া গরু-ছাগলের চেয়ে বেশি। পূর্ণবয়স্ক একটি উটপাখির মাংস প্রায় আড়াই মণ পর্যন্ত হয়।
এসি