ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ফুড এন্ড মুড

আফসানা জাহান নীলা

প্রকাশিত : ১৮:০৬, ৭ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৮:০৮, ৭ জানুয়ারি ২০২১

পুষ্টিবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আফসানা নীলা পেশায় একজন সংবাদকর্মী। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই নিয়মিত কাজের পাশাপাশি লেখালিখি করেন মানুষকে সচেতন করার মানসে। মা-শিশু-স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি।

সময়, কাজের ক্ষেত্র আর পারিপার্শ্বিক নানা কারণে কিংবা ব্যস্ততার অজুহাতে আমরা প্রায়ই বলি- ‘কিছু একটা খেলেই হলো’। প্রত্যাহিক জীবনে সেই একটা কিছু খাওয়ার উদাহরণও কম নয়। তাড়াহুড়ায় আমরা কখনও কেউ ব্রেকফাস্ট করি না, কখনও লাঞ্চে কোনও রকমে খেয়ে নিই- সেই কিছু একটা। কখনও আবার ডায়েট করতে গিয়ে একবেলা-দু’বেলা খাই না, কখনও আয়োজন করে খেয়ে নিই ভরপেট।

কিন্তু আমরা নিজেরাও জানিনা, খাবার গ্রহণের এসব ওলোট-পালোট নিয়ম অলক্ষ্যে রাগিয়ে দেয় শরীরকে। মন খারাপ হয় শরীরের। হয় মুড পরিবর্তন। নেগেটিভ মুড প্রভাব ফেলে কাজকর্ম আর আচার-আচরণে। এসব আলোচনা থেকেই আসে ‘ফুড এন্ড মুড’ কথাটি।

খেয়াল করে দেখবেন- কখনও কিছু খাবার আপনার শরীরকে ইরিটেট বা ব্রিবত করছে। কখনও কিছু খাবার খেতে একদমই ভালো লাগে না। আবার পারফেক্ট ফুড ডায়েরি মেইন্টেইন করে খেয়ে দেখবেন, শরীর–মন চাঙ্গা থাকছে। শরীরে রোগ থাকলে খাবারে আপনার প্রবলেম এরিয়াগুলো শনাক্ত করতে পারেন ডাক্তার আর ডায়েটেশিয়ানদের সাথে কথা বলে। 

তবে, একটা কথা আমাদের মানতেই হবে- খেতে ভালো না লাগলে, তা যতই আপনার শরীরের জন্য ভালো হোক ইচ্ছে করবে না। সেক্ষেত্রে ট্রাই করা যায় নতুন নতুন রেসিপি। যে খাবারগুলো আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো হয়- সেগুলো একটু ভিন্নভাবে প্রসেস করে দেখতে পারেন। নিশ্চয়ই আপনার টেস্ট বাড খুশি হবে। স্টোমাক হ্যাপি আর মুডও ভালো থাকবে। 

সাধারণত আমরা যেসব খাবার গ্রহণ করি, সেগুলো বিভিন্ন রকমের রান্নার পদ্ধতিতেও ট্রাই করা যায়। মাছ–সবজি-মাংস সচরাচর যে পদ্ধতিতে খাই, তা না করে ভাপে–বেক কিংবা গ্রিল এর মাধ্যমে গ্রহণে অপছন্দের খাবারও প্রিয় হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি মেনুতেও আসবে বৈচিত্র।

মূলত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া একটা অভ্যাস। এমনভাবে একটি ডায়েট চার্ট করা উচিত যা মেনে চলতে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে না। এক্ষেত্রে মাথায় কয়েকটি বিষয় রাখলে হয়-
•    পোর্শন কন্ট্রোল বা কতটুকু পরিমাণে খাবেন। 
•    আইডিয়াল প্লেট, ভ্যারাইটি বা সব রকমের খাদ্য উপাদানের উপস্থিতি আছে কিনা।
•     আর লোকাল প্রোডিউস বা স্থানীয়ভাবে সহজে পাওয়া যায় এমন সব খাবার।

এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে সুষম আহার করার জন্য আলাদা কোনও প্রচেষ্টা লাগবে না।

মুডের ওপর ফুড বা খাদ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ নিয়ে ভাবার অবসর নেই আমাদের। তাছাড়া হুটহাট যে কোনও কিছু খেয়ে নেয়ার দীর্ঘদিনের অভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তনও সহজ নয়। এর জন্য ইচ্ছে থাকাটা জরুরী। মানুষের পেশা, বয়স, শারীরিক চাহিদা, পরিবেশ, পরিস্থিতি, রিসোর্স, পছন্দ-অপছন্দ এবং সময় বিবেচনায় রেখে মিল প্ল্যান হওয়া উচিত। তাই যা খুশি খেয়ে নিলে কিংবা পছন্দের রিচ ফুডেই গুড মুড মিলবে এমনটি একদমই ভাবা যাবে না।

লেখক- মাস্টার্স ইন ফুড এন্ড নিউট্রিশন ও সাংবাদিক।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি