ডায়াবেটিসের দাওয়াই বাদামের মাখন
প্রকাশিত : ১১:০২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
বাদামের মাখন একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এই প্রোটিনযুক্ত খাবার শুধু বাচ্চাদের স্কুল টিফিনের জন্যই নয়, এছাড়া সকালের নাস্তার খাবারেও ব্যবহার করা যায়। এই নরম মাখন প্রায় সবকিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যাবে।
টোস্ট কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি মজার। চিনাবাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা ওজন কমাতে চায় এমন প্রেমিকদের জন্য খুবই উপকার। এছাড়া চিনাবাদাম ডায়াবেটিস, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
চিনাবাদামের মাখন খাওয়ার কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
১) প্রোটিনবৃদ্ধি : প্রোটিন আপনার শরীরের কোষের জন্য প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম চিনাবাদামের মাখনে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে অর্থাৎ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন বিদ্যমান।
২) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় : চিনাবাদামের মাখনে যে চর্বি উপাদান রয়েছে তা জৈবিক তেলের সমতুল্য। আপনার শরীরে যে বিষাক্ত চর্বি রয়েছে তা দূর করে দেয়। চিনাবাদামের মাখন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলকে উন্নীত করে।
৩) ডায়াবেটিস দূর করে : গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিস ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাচ্ছে চিনাবাদামের মাখনে। এখানে এমনি একটি চর্বি রয়েছে যা ইনসুলিনের উন্নতি ঘটায়।
৪) পূর্ণ ভিটামিন : চিনাবাদামের মাখন আপনার শরীরের সব ধরনের ভিটামিন পূর্ণ করে। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতির সহায়তা করে এবং ভিটামিন ‘সি’ শরীরের ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া আলসারগুলো দ্রুত সারিয়ে তোলে।
৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে : গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা চিনাবাদাম কিংবা চিনাবাদামের মাখন অতিরিক্ত খেয়েছে তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করেছে।
৬) উচ্চ পটাশিয়াম বৃদ্ধি : চিনাবাদামে প্রায় ১০০ গ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের তরল ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তের উপর কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম পরতে দেয় না। এ কারণে চিনাবাদামের মাখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : চিনাবাদামের মাখন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোলন, প্রস্টেট এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
/কেএনইউ/ এআর