নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
হার্ট অ্যাটাক বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জীবনঘাতি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সী মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছেন। এই রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ থাকলেও নারীদের হার্ট অ্যাটাকের আলাদা কিছু লক্ষণ নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা।
নারীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো হলো- বদহজম, হাঁপিয়ে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা, থুতনি, ঘাড়, হাতে ব্যথা। অথচ নারীদের ক্ষেত্রে এসব উপসর্গ বেশিরভাগ সময়ই অবহেলিত থেকে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ফলে সমবয়সি পুরুষদের তুলনায় নারীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
‘অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’ যা ‘হার্ট অ্যাটাক’ নামে পরিচিত। এর ফলে হওয়া তীব্র ব্যথা নিয়ে নারীদের চিকিৎসকের কাছে শরণাপন্ন হওয়ার পরিমাণ খুবই কম। তবে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ নিয়ে শরণাপন্ন হওয়ার পরিমাণ বেশি এবং হাসপাতালে এই রোগের কারণে মারা যাওয়ার পরিমাণও বেশি।
ইয়েল স্কুল অব পাবলিক হেলথের (ওয়াইএসপিএইচ) গেইল ডি’ওনোফ্রিও বলেন, হৃদযন্ত্রের রোগের একাধিক ঝুঁকিবহনকারী একজন নারী যখন বুকে অস্বস্তি নিয়ে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তখন ধরে নেওয়া উচিত তাদের ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ বা ধমনী সংকুচিত হয়ে হৃদপিণ্ডে রক্তসরবরাহ কমে যাওয়ার সমস্যা থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকদের উচিত তাদের সঠিকভাবে পরীক্ষা করা।
‘সার্কুলেশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণায় ২ হাজার ৯ জন নারী ও ৯৭৬ জন পুরুষ হার্ট অ্যাটাকের রোগীর মধ্যে লিঙ্গ, উপসর্গ, উপসর্গের ধারণা এবং চিকিৎসা নেওয়ার আগ্রহগত সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। এদের সবারই বয়স ছিল ৫৫ বছর কিংবা তার কম।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশিরভাগ নারী-পুরুষেরই হার্ট অ্যাটাকের প্রধান উপসর্গ ছিল বুকে ব্যথা ও চাপ অনুভব করা। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হিসেবে বদহজম, হাঁপ ধরা, বুক ধড়ফড় এবং চোয়াল, ঘাড় ও হাতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গবেষকরা বলেন, গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া নারীদের এই ধরনের লক্ষণগুলোকে তাদের চিকিৎসকরা হৃদপিণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার পরিবর্তে মানসিক চাপ ও অস্বস্তির ফলে হয় বলে মনে করার সম্ভাবনা বেশি দেখা গেছে।
ওয়াইএসপিএইচয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং ‘ক্রনিক ডিজিজ এপিডেমিওলজি’ বিভাগের প্রধান জুডিথ এইচ বলেন, তরুণ নারী ও পুরুষদের মধ্যে বুকে ব্যথাই প্রধান লক্ষণ হলেও, এই লক্ষণের সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণগুলো থাকলে তাকে দ্রুত হৃদপিণ্ড সম্পর্কিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত, বিশেষত তরুণ রোগীর ক্ষেত্রে।
সূত্র : রয়টার্স।
/ এআর /