ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

হিস্টিরিয়া চিকিৎসায় স্বর্পগন্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৪, ৮ অক্টোবর ২০১৮

অসুখ হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটি। এতে দোষের কিছু নেই। তবে আমাদের প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো গ্রহণ করলে বহু জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এমন একটি উপাদান হচ্ছে স্বর্পগন্ধা। স্বর্পগন্ধার চূর্ণ অনিদ্র দূর করে। সেই সঙ্গে হিস্টিরিয়ার রোগের উপশম করে। আরও রয়েছে নানা উপকারিতা। নিচে তা তুলে ধরা হলো-

১)অনিদ্রা ও উচ্চা রক্তচাপে- ২০০-৫০০ মিলিগ্রাম মূল চূর্ণ রোজ ১-২বার পানিসহ সেব্য। ১ মাস সেবনে বহু উপকার পাওয়া যায়।

২) উন্মাদ ও হিস্টিরিয়ায়- ২০০-২৫০ মিলিগ্রাম মূল চূর্ণ রোজ একবার প্রয়োজনে দু’বার দুধ ও চিনিসহ সেব্য। নিয়মিত ২০-২৫ দিন সেবন করে যাওয়া আবশ্যক।

৪) আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় উজ্জল সূর্য মহামহোপাধ্যায় কবিরাজ গণনাথ সেন ও ডাক্তার কার্তিকচন্দ্র বসু সর্পগন্ধার মূল/শেকড় বিশ্লেষন (১৯৩০) করে বলেছেন-এটি অত্যন্ত উত্তেজনানাশক ও নিদ্রাকারক। উপযুক্ত মাত্রায় সেবন করলে সুনিদ্রা হয় ও উন্মত্ততা হ্রাস পায়। তাই উন্মাদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্পগন্ধার মূল ব্যবহৃত হয়।

৫)এছাড়া মূলের নির্যাস প্রসব ত্বরান্বিত করে ও তলেপেটের ব্যথা, ডায়রিয়া , আমাশয় এবং জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

পরিচিতি

সর্পগন্ধা একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ সাধারনত ১ মিটার উচু পর্যন্ত হয়। পাতার সরল, লম্বাটে, অগ্রভাগ উজ্জল বর্ণের হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতিটি গিটে ৩টি করে পাতা থাকে। পুষ্পদন্ডে অল্প অল্প গুচ্ছবদ্ধ গোলাপী ফুল হয়। ফল প্রথমে সবুজ, পরে পাকলে বেগুনী -কালো হয়। এর মূল ধূসর পী,বর্ণের ও লম্বালম্বি ফাটলযুক্ত হয়। কাচা মূলের গন্ধ কাচা তেতুলের মত। গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে ও বর্ষকালে ফল পাকে।

সূত্র : বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া

লেখক : ড. তপন কুমার দে

/এআর /

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি