ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

‘দি ডক্টস্’ (ভিডিও)

শব্দের মাত্রা বাড়লে হবে মস্তিষ্কের বিকৃতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৭, ১২ মার্চ ২০১৮

শব্দ দূষণ যেকোনো মানুষের জন্য ক্ষতিকর হলেও এতে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশ, রিক্সা বা গাড়ি চালক, রাস্তার নিকটস্থ শ্রমিক বা বসবাসকারী মানুষ অধিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের শ্রবণ সীমার স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল। যার বেশি হলে শব্দ দূষণে পরিণত হয় যা থেকে মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয়- শব্দ ও কানের সমস্যা’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু (বিভাগীয় প্রধান, নাক, কান, গলা বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)

দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতিলিখন করেছেন সোহাগ আশরাফ

প্রশ্ন : স্বাভাবিক ভাবে শব্দের মাত্রা কত ডেসিবেল হওয়া উচিৎ?

উত্তর : শয়ন কক্ষে ২৫ ডেসিবেল, ডাইনিং এবং ড্রয়িং কক্ষের জন্য ৪০ ডেসিবেল, অফিসের জন্য ৩৫-৪০ ডেসিবেল, শ্রেণিকক্ষের জন্য ৩০-৪০ ডেসিবেল, লাইব্রেরির জন্য ৩৫-৪০ ডেসিবেল, হাসপাতালের জন্য ২০-৩৫ ডেসিবেল এবং সর্বোপরি ৪৫ ডেসিবেলের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। অথচ রাজধানীতে সৃষ্ট শব্দের সীমা স্বাভাবিক সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

প্রশ্ন : ঢাকায় শব্দের মাত্রা কেমন?

উত্তর : ৬০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ মানুষকে অস্থায়ী বধির এবং ১০০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ মানুষকে স্থায়ী ভাবে বধির করে দেয়। অথচ ঢাকা শহরে শব্দের মাত্রা ধারণা করা হয় ৬০-৮০ ডেসিবেল যা মানুষকে বধির করে দিতে পারে।

ঢাকায় যানবাহনের শব্দের পরিমাণ ৯৫ ডেসিবেল, কল-কারখানায় ৮০-৯০ ডেসিবেল, সিনেমা হল ও রেস্তোরাঁতে ৭৫-৯০ ডেসিবেল, যেকোন অনুষ্ঠানে ৮৫-৯০ ডেসিবেল, মোটর বাইকে ৮৭-৯২ ডেসিবেল, বাস এবং ট্রাকে ৯২-৯৪ ডেসিবেল যার সবকটিই মানুষের মস্তিষ্কের বিকৃতি এবং জটিল সব রোগ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন : মিসেস শাহিদা ইসলাম। একজন ৭০ বছর বয়সী নারী। তিনি জানতে চেয়েছেন তার কানে সব সময় ঝি ঝি লেগেই থাকে। এটার কারণ কি?

উত্তর : প্রথমেই বলবো তিনি অনেক বয়স্ক মানুষ। যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন কানের যে স্নায়ু এটা ক্ষয় হতে থাকে। দেখা যায় যে এসব কারণে এক ধরণের শব্দ তৈরি হয়। এটা দূর করার সহজ উপায় হচ্ছে ডাইভারশন। অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিনের অভাবে হতে পারে। সাইকোলজিক্যালিও হতে পারে। অনেক দিন ধরে একাকিত্ব জীবনের কারণে হতে পারে। আগে এটা চিহ্নিত করতে হবে। এরপর পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রশ্ন : মো : দেওয়ান জনি জানতে চেয়েছেন যে- তিনি একটি স্কুল পরিচালনা করছেন, যেখানে প্রায় ৬০/৭০ জন বাচ্চা রয়েছে। যাদের মধ্যে কিছু বাচ্চা কানের মধ্যে ঘুন ঘুন শব্দ শুনতে পায়। এটির কারণ কি?

উত্তর : প্রশ্নটি অনেক সুন্দর। তবে বুঝতে হবে যে এটা কেনো হচ্ছে? শিশুদের কান বড়দের চেয়ে বেশি সংবেদনশিল। কারণ তাদের সব কিছুই গ্রো করছে। সেই সময়ে কোন ধরণের আঘাত হলে এটা হতে পারে। বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে যদি আমরা শব্দদুষণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারি তবে ভবিষতে খুব খারাপ দিন আসবে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে বধিরতার হার কত?

উত্তর : ২০১৩ সালের হিসেব অনুসারে বিভিন্ন মাত্রায় ৩৫% এর মত। আর একেবারে যারা সমস্যায় আছেন অর্থাৎ যে বধিরতায় কেউ কাজ-কর্ম করতে পারে না তাদের সংখ্যা ৯.৬%।

বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন :

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি